Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে পাক সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্কশাল আসিম মুনিরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা হয়েছে। ডেপ্লোম্যাটিক ঐতিহ্যের বাইরে গিয়ে এই পদক্ষেপকে বিশ্লেষকরা ‘নতুন জনপ্রিয় কৌশল’ হিসেবে দেখছেন।
ট্রাম্প বলেন, “পাকিস্তান আব্বি গেট হামলার জঙ্গিকে গ্রেপ্তারে সহায়তা করেছে, তাই আমি মুনিরকে ধন্যবাদ জানাতে এসেছি।” পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, মে মাসে ভারত–পাকিস্তানের সংঘাত রুখে দেয় মুনির- মেরুদণ্ডের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ সমাধানটি সফল হয়েছে। ট্রাম্প উল্লেখ করেন, “আমি যুদ্ধ এড়াতে সাহায্য করেছি — মুনির, মোদি, এবং অন্যান্যদের সঙ্গে।”
মাঝপ্রাচ্যে ইরান–ইজরায়েল উত্তেজনার সময় এই সাক্ষাৎ আরও গভীর রাজনৈতিক তাৎপর্য নিতে পারে। স্থানীয় বিশ্লেষকরা বলেন, “পাকিস্তানের কৌশলগত অবস্থান ট্রাম্পকে আকৃষ্ট করেছে।” পূর্বের সেক্যুরিটি ফোকাস থেকে ট্রাম্পের প্রশাসন ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে পাকিস্তানের দিকে নজর দিচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে দেখছে, পাক–আমেরিকা সম্পর্ক ছিল নির্দিষ্ট নিরাপত্তা সহযোগিতার ভিত্তিতে; এ বিষয়ে করণীয় ছিল দ্বৈতদৃষ্টি ও অভিমানের মিশ্রিত মনোভাব। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় এ সম্পর্ক আবার কেন্দ্রীয় স্থানে উঠে এসেছে।
কর্পোরেট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রুমি মন্তব্য করেন, “এটি একটি সাময়িক রসিকতা, যদি না এটা পরিচালিত হয় সংগঠিতভাবে।” অন্যদিকে চাকুর রইমালা বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত এই সংযোগ সামরিক নেতৃত্বকে কেন্দ্রে রাখবে, গণতান্ত্রিক স্বাক্ষর ও নিয়ন্ত্রণ হ্রাস পাবে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন হাওড়ার মাধ্যমে পাকিস্তান–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক স্বাভাবিক পথের বাইরে গিয়ে ‘নতুন রূপ’ নিতে পারে, তবে শীতল রাজনীতিতে সেটি কতদিন স্থায়ী হবে তা সময়ই বলবে।
সূত্র: আল জাজিরা