Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইসরায়েলের ‘Operation Rising Lion’ নামের সাম্প্রতিক হামলাটি ছিল উচ্চতর সামরিক ও গোয়েন্দা দক্ষতার এক চমকপ্রদ প্রদর্শনী। কিন্তু ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য বলে মনে করছেন প্রাক্তন মোসাদ গবেষণা প্রধান সিনা শাইন।
তিনি বলেন, “মোসাদ এবং আইডিএফের সুনিপুণ সমন্বয় ও পরিকল্পনা সত্যিই প্রশংসনীয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েল এই যুদ্ধ একা চালিয়ে যেতে পারবে না। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার অনেক অংশ গভীর ভূমির নিচে, যা ধ্বংস করা খুব কঠিন।”
ইসরায়েলের হামলার পর ইরানের পাল্টা হামলা শুরু হয়েছে, যা চালিয়ে যাবে এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হবে বলেও আশঙ্কা করছেন শাইন। তিনি জানান, ইরানের প্রতিশোধ হতে পারে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ, পাশাপাশি স্লিপার সেল এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে কূটনৈতিক চাপ বাড়ানো।
বিশ্বের বড় শক্তিগুলো ইরানের বিপজ্জনক কার্যক্রম নিয়ে প্রায় একমত হলেও, শাইন মনে করেন, এই সংঘাতের পেছনে রয়েছে রাশিয়া ও চীনের মতো রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
তিনি বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি এই অভিযানে না জড়ায়, তাহলে ইসরায়েলের সফলতা সীমিত থাকবে এবং ইরান তাদের পারমাণবিক ক্ষমতা পুনর্গঠন করতে পারবে।”
এই পরিস্থিতিতে, ইসরায়েল-ইরান সংঘাত কেবল একটি ‘অপারেশন’ নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের সূচনা বলেও মন্তব্য করেছেন শাইন। তিনি সতর্ক করেছেন, এই যুদ্ধ চলাকালীন উভয়পক্ষই পাল্টা পাল্টি হামলা চালিয়ে যাবে, যা মধ্যপ্রাচ্যের সংকটকে আরও গভীর করবে।
সর্বশেষ, শাইনের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, ইসরায়েল-ইরান সংকটের ফলাফল নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সিদ্ধান্তের ওপর এবং এই সংঘাতের পরবর্তী অধ্যায় বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন এক পর্বের সূচনা হতে পারে।
সূত্র: দ্য জেরুজালেম পোস্ট