| Your Ads Here 100x100 |
|---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইসরায়েল ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত করার জন্য ‘বাঙ্কার বাস্টার’ নামে পরিচিত ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের শক্তিশালী বোমাটি ব্যবহারের জন্য। এই বোমাটি বিশেষভাবে পরিকল্পিত, ভূগর্ভস্থ নিরাপদ স্থাপনা লক্ষ্য করে ধ্বংসাত্মক হামলা চালানোর জন্য। তবে এই অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাব্য প্রভাব ও পরিণতি নিয়ে সংশয় ও উদ্বেগ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ব-২ স্পিরিট স্টেলথ বোমার মাধ্যমে পরিচালিত এই বোমাটি পারমাণবিক কারখানাগুলোর মতো গভীর গুহা বা পাহাড়ের ভিতরে থাকা গোপন স্থাপনাগুলো ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনাটি যা প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মিটার ভূগর্ভে অবস্থিত, সেখানে এই বোমার একক আঘাত সম্পূর্ণ সফল নাও হতে পারে। তবে একাধিকবার হামলা চালালে তা ধ্বংসের সম্ভাবনা থাকে।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই ধরণের শক্তিশালী অস্ত্র প্রয়োগে শুধু ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, বরং তা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক উত্তেজনাকে ব্যাপক মাত্রায় বাড়িয়ে তুলতে পারে। ইরান থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই ব্যাপক অবনতি হতে পারে। এছাড়া, এমন হামলা অর্থনৈতিক, সামরিক ও মানবিক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বোমাটি ব্যবহার করলে ইরানের কঠোর প্রতিক্রিয়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সামরিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়বে। বিশ্ব শক্তিগুলোও এই মুহূর্তে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, যাতে যে কোনো অনাকাঙ্খিত সংঘর্ষের পথ বন্ধ করা যায়।
এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিষয়ে মিশ্র সাড়া দিয়েছেন। একদিকে তিনি কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে, অন্যদিকে ইরানের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তবে এমন পরিস্থিতিতে ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা ব্যবহারের সম্ভাবনা বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
সূত্রঃসিএনএন
