Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ং, ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাঁ-নোয়েল বারো এবং ইতালীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানির সঙ্গে পৃথক বৈঠক ও ফোনালাপ করেছেন। আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইসরায়েল ও এর আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের মধ্যে চলমান যুদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, এই বৈঠকে সকলেই একমত হন যে, “ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা অর্জন করতে পারবে না।” ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি টুইটারে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি এখনও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। তিনি জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কূটনৈতিক সমাধানের সুযোগ রয়েছে।
গত ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে বিমান যুদ্ধ উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এ অঞ্চলে গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গাজা অভিযানের কারণে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা বিরাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করবে কিনা। ওয়াশিংটন ইতোমধ্যে ডিপ্লোম্যাটিক সমাধানের পথ অনুসরণ করলেও যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়েও মিশ্র সংকেত দিয়েছে।
ইসরায়েল নিজেকে মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র পারমাণবিক সক্ষম দেশ হিসেবে দাবি করে। তারা বলছে, ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে সে কারণে ইরানের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ইরান বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।
ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তৃতি বিরোধী চুক্তির সদস্য হলেও ইসরায়েল নয়। মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানে ৬৩৯ জন নিহত হয়েছেন, আর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত দুই ডজন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে।
ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জেনেভায় শুক্রবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠক করবেন, যেখানে তারা উত্তেজনা কমানোর উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন।
সূত্রঃ রয়টার্স