Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মাত্র ১০ মাস আগে ক্ষমতায় এসেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। এর মধ্যেই তাঁর সরকার পড়ে গেছে টালমাটাল অবস্থায়। জোট সঙ্গী ‘ইউনাইটেড থাই নেশন’ (UTN) দল তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছে, অন্যথায় সরকার থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছে তারা।
৩৮ বছর বয়সী পেতংতার্ন সাবেক বিতর্কিত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কন্যা। অর্থনৈতিক স্থবিরতা, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কচাপ এবং প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে চাপে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি ফোন কল পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। সেখানে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে আলাপের সময় পেতংতার্ন একজন সেনা কর্মকর্তাকে উপহাস করেন।
থাইল্যান্ডে সেনাবাহিনীর প্রভাব বিশাল, তাই এই মন্তব্য দেশজুড়ে সমালোচনার জন্ম দেয়। বিষয়টি ‘জাতীয় সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি’ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে পেতংতার্নের পদত্যাগের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো। ২৮ জুন ব্যাংককে বড় ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তারা।
এদিকে বড় জোটসঙ্গী ভুমজাইথাই পার্টি বুধবার সরকার থেকে সরে যাওয়ায় সরকার টিকে থাকাও কঠিন হয়ে পড়েছে। যদিও আরেক সঙ্গী ডেমোক্র্যাট পার্টি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
সরকারি সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলেও সম্ভাব্য বড় মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের চিন্তাভাবনা চলছে। তবে সবকিছু এখন নির্ভর করছে জোটসঙ্গীদের সঙ্গে ‘পর্দার আড়ালের আলোচনার’ ওপর।
চাপের মুখে শুক্রবার সীমান্তের সেনাঘাঁটি পরিদর্শনে যাচ্ছেন পেতংতার্ন, যেখানে দেখা করবেন সেই সেনা কর্মকর্তার সঙ্গেও যাঁকে তিনি ফোনে কটাক্ষ করেছিলেন।
সূত্রঃ রয়টার্স