Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের বিরোধীদলগুলো বিভক্ত হলেও বর্তমানে নিজেদের ‘স্বর্ণযুগের’ সুযোগ দেখতে পাচ্ছে। মূলত ইহুদীদের আক্রমণ ও আতঙ্কের মধ্যে চাপা পড়া সরকার ব্যবস্থাকে দুর্বল মনে হচ্ছে। নির্বাসিত বিরোধীদল যেমন রেজা পহলাভি (সাবেক শাহতুলপন্থী) ও পিপলস মুজাহেদিন অর্গানাইজেশন সক্রিয় প্রতিবাদ আহ্বান জানালেও, অভ্যন্তরীণ কর্মীরা বিপুল জনঅগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছড়াতে ইচ্ছুক নয় ।
নোবেলজয়ী নারগেস মহাম্মাদির পরামর্শ, “আমার শহর ধ্বংস করো না”—এমন হুমকির মধ্যেই বেশিরভাগ অভ্যন্তরীণ কর্মীরা ‘অগ্নিপুরীতে’ না জ্বালানোর জন্য সতর্ক হয়ে রয়েছেন । শিরাজের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, “হামলা শেষ হলে আমরা আওয়াজ তুলব,” কিন্তু সক্রিয় রাজনৈতিক বিক্ষোভের কথা অস্বীকার করেন ।
ইরানের সীমান্তবর্তী বিপ্লবী ও আলোকসহায় সংগঠনগুলো—কুর্দ ও বালুচ—তবে প্রস্তুত অবস্থানে, আর নির্বাসিত বিরোধীদের মুখে ‘এটাই আমাদের ইতিহাসের মুহূর্ত’—রেজা পহলাভির বার্তা । তবে এসব দাবি তুলছেন বিকেন্দ্রীভূত পর্যায়ে, দলে দলে, উদ্দেশ্যে বিভক্ত।
সংকটের এই সময় ইহুদী আক্রমণের জোরালো লক্ষ্য ছিল ইরানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেওয়া । তবে অভ্যন্তরীণ সংস্কারীদের মনে আতঙ্ক কাজ করছে—তাদের মধ্যে বহু সন্তান, গৃহ এবং গৃহপালিত প্রাণী রক্ষার প্রতিজ্ঞা ।
অপরদিকে, ইসরায়েলি নেটানিয়াহুর আহ্বান—“আমরা তোমাদের পথ পরিষ্কার করছি”—বিরোধীদেরকে দৃঢ় বার্তা মনে হলেও উদ্বেগ রয়েছে প্রচণ্ড অসমর্থন ও এজেন্ডার উভয় দিক থেকে ।
ইরানের অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বীরা বিশ্বে তাঁদের স্থান আবার প্রতিষ্ঠা করতে চায়, কিন্তু পূর্বের বিক্ষোভগুলোর রক্তাক্ত স্মৃতি—২০০৯, ২০১৭ ও ২০২২—ভুলে যায়নি । এখনও সময়, নেতৃত্ব ও কৌশল নিয়ে প্রশ্নের পূর্ণ ঝাঁজ রয়েছে। কবে মাঠে নামবে তারা—এ তাৎক্ষণিক উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না, এমনকি আক্রমণের গর্জনেও।
সূত্রঃ রয়টার্স