Your Ads Here 100x100 |
---|
যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া যে কারও স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিক হওয়ার অধিকার খর্ব করে ট্রাম্পের দেওয়া নির্বাহী আদেশের বাস্তবায়ন সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় এক বিচারক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব (birthright citizenship) বাতিলের লক্ষ্যে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। আদেশটি অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসী বা অস্থায়ী ভিসাধারী অভিভাবকের যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া সন্তানরা আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পাবে না। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই সিদ্ধান্ত অভিবাসন সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে।
তবে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালত এই আদেশের বিরুদ্ধে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেছে। বিচারক জন কফেনার এই আদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন। সংবিধানের এই সংশোধনী অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী সবাই নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারী, যা দীর্ঘদিন ধরে দেশের মৌলিক অধিকারগুলোর অংশ হিসেবে স্বীকৃত।
ট্রাম্প প্রশাসন এই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে, এই পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্য অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা কমানো। তবে সমালোচকরা একে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সংবিধানবিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বোনটা বলেছেন, “এই আদেশ সংবিধানের মৌলিক অধিকারগুলোর ওপর আঘাত এবং আইনি ক্ষমতার অপব্যবহার।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টি শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে গড়াবে এবং এর ফলাফলের ওপর জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। ইতোমধ্যে দেশজুড়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি এবং সংবিধান রক্ষায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।