Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার প্রেক্ষিতে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিনিয়োগকারীরা। আর্থিক অস্থিরতা ও সম্ভাব্য মুদ্রাস্ফীতির প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ব এখন সতর্ক। ভাইব্রাল সোশ্যাল-মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ মার্ক ট্রাম্প এই হামাকাকে “দর্শনীয় সামরিক সাফল্য” হিসেবে বলেছেন—তিনি দাবি করেন, তিনটি প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্র সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
এই হামলার পরপরই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে পদক্ষেপের কারণে নিরাপদ আশ্রয় সম্পদ—যেমন ডলার ও সোনার প্রতি নজর দিয়েছে, যদিও সংঘাতের ভবিষ্যত এখনো অনিশ্চিত।
“আমি মনে করি, বাজার প্রথম দিকে অত্যন্ত চিন্তিত হবে। তেলের দাম আরও বাড়বে,” বলেছেন মার্ক স্পিন্ডেল, পোটোম্যাক রিভার ক্যাপিটালের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা। তার মতে, ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাজারে অস্থিরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তেলের চাহিদাও বাড়াবে।
তবে শুধু তেল নয়, নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে—
-
সোনায় বিনিয়োগ বাড়তে পারে,
-
ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে,
-
স্টক বাজারে শুরুতে কিছু পতন হলেও পরে স্থিরতা ফিরে আসবে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিক্সের গবেষণায় দেখা গেছে, যদি সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল প্রায় ১৩০ ডলারে পৌঁছাতে পারে এবং মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৬ % ছুঁয়ে যেতে পারে। বিষয়টি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
মার্কিন কংগ্রেসে বিতর্ক চলছে—এই হামলা কংগ্রেসের অনুমোদনের বাইরে করা হয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশ্ববাজার এখন অস্থিরতার অন্ধকারে, যেখানে ‘তেলের দাম বেড়ে যাওয়া’ ও ‘নিরাপত্তার দিক ঝুঁকছে’—দুটি একইসাথে বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স