Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইউক্রেনের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার অলেক্সান্দ্র সিরস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে প্রায় ১০ হাজার রুশ সেনা লড়াই করছে। এ অঞ্চলের হ্লুশকভ জেলা থেকে ইউক্রেন প্রায় ৯০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি জানান, “আমরা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের হ্লুশকভ জেলার প্রায় ৯০ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে রেখেছি, যা প্রতিপক্ষের সম্ভাব্য আক্রমণের প্রতিহত করতে নেওয়া আমাদের পূর্বসতর্ক ব্যবস্থা।”
এই এলাকায় ইউক্রেনীয় সেনাদের সক্রিয়তা রাশিয়াকে পূর্বের দোনেটস্ক অঞ্চলে বড় পরিমাণে সেনা পাঠাতে বাধা দিয়েছে, যেখানে যুদ্ধ সবচেয়ে প্রবল। প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্রন্টলাইনে ইউক্রেনীয় সেনারা রুশ সেনাদের মোকাবিলা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি কঠিন থেকেই যাচ্ছে।
মে ও জুনে রাশিয়ার সামরিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত হলেও, ছোট ছোট আক্রমণে তাদের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। গত সপ্তাহে ডনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের সীমান্তে রুশ আগ্রাসন ঠেকিয়েছে তারা, কিন্তু পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলে রুশ চাপ অব্যাহত রয়েছে।
রাশিয়া দূরবর্তী শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেন এ ধরনের হামলা প্রতিরোধে সাফল্য পেতে ৮২% শাহেদ-ধরনের ড্রোন ধ্বংস করছে, কিন্তু আরও সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে।
দীর্ঘপাল্লার সক্ষমতা ব্যবহার করে ইউক্রেন রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও সামরিক লক্ষ্যগুলোকে আঘাত হানছে, যা যুদ্ধের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত রাশিয়ার তেল পরিশোধন ও জ্বালানি খাতসহ বিভিন্ন খাতে ১.৩ বিলিয়ন ডলারের সরাসরি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও, প্রায় ৯.৫ বিলিয়ন ডলারের পক্ষে অস্পষ্ট ক্ষতিও রিপোর্ট করা হয়েছে।
এতে স্পাইডার’স ওয়েব নামের অপারেশনের ক্ষতিও অন্তর্ভুক্ত কিনা তা নিশ্চিত নয়।
সূত্র: রয়টার্স