Your Ads Here 100x100 |
---|
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:
২৩ জুন (সোমবার) পলাশী দিবস। ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য প্রায় দুইশ বছর ম্লান হয়। নদীয়ার পলাশীর প্রান্তরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও বিশ্বাসঘাতক স্থানীয় নেতাদের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন।
ক্যাপ্টেন রবার্ট ক্লাইভ ও অ্যাডমিরাল ওয়াটসনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ সেনারা নবাবকে সিংহাসন থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র রচনা করেন। মীরজাফর, জগৎ শেঠ, মাহতাব চাঁদসহ স্বার্থান্বেষী নেতারা এই ষড়যন্ত্রে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। নবাব সিরাজ ও তার বিশ্বস্ত সেনাপতি বকসী মীরমদন প্রাণপণ লড়াই চালালেও, বাংলার বাহিনী সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকার পরও মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় শেষ বিজয় ব্রিটিশদের হয়।
পলাশী যুদ্ধের পর মীরজাফর বাংলার নবাব হন এবং এক কোটি ৮০ লাখ পাউন্ডের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। এরপর ১৭৬৪ সালের বক্সারের যুদ্ধে ব্রিটিশরা বাংলার পূর্ণ ক্ষমতা দখল করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতবর্ষ দীর্ঘ দুইশ বছর ব্রিটিশ শাসনের অধীনে পড়ে।
পলাশী বিজয় বাঙালির জন্য এক চরম ব্যথার অধ্যায় হলেও শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম কখনো থেমে থাকেনি। ১৯৪৭ সালে ভারত-বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
এই দিনে আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি পলাশীর বীর নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও মুক্তির সংগ্রামরত সকল বীর সন্তানকে।