Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গ্রিসের কিওস দ্বীপে ভয়াবহ দাবানলের কারণে সরকার দ্বীপটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ছড়িয়ে পড়া আগুনে দ্বীপের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যাচ্ছে। ঝোড়ো হাওয়ায় আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দেশটির জলবায়ু সংকট ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ইয়ানিস কেফালোইয়ানিস জানান, “গতকাল থেকে দ্বীপে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠেছে। কারণ, বারবার নতুন নতুন জায়গায় আগুন দেখা দিচ্ছে, আর আবহাওয়া সহায়ক নয়।”
উত্তর-পূর্ব এজিয়ান সাগরের কিওস দ্বীপে ইতোমধ্যে প্রায় ১৯০ জন দমকলকর্মী কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে আরও ১৭০ জন যোগ দিচ্ছেন। আগুন যেন জনবসতি ও ঐতিহ্যবাহী মাস্তিখা উৎপাদন এলাকাগুলোতে না পৌঁছায়, সে চেষ্টা চলছে।
৩৮টি দমকল গাড়ির সঙ্গে আরও ৩০টি গাড়ি এবং ১৩টি হেলিকপ্টার ও ৪টি পানিবাহী বিমান আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করছে।
বাতাসের গতি বৃদ্ধির কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে জটিলতা দেখা দিয়েছে। আগুন উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে ছড়িয়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং শত শত মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে একাধিক জায়গা থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় তদন্ত শুরু করা হবে।
দাবানলে বিপর্যস্ত ইউরোপের দক্ষিণে অবস্থিত গ্রিস সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ বছর রেকর্ড ১৮ হাজার দমকলকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আগুন মোকাবেলায়।
সূত্রঃরয়টার্স