Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ‘স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল এক লাখ টাকা’ শিরোনামের অভিযোগে ব্যক্তি ও কমিশনের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমে ডা. মাহমুদা আলম মিতু-কে উদ্দেশ্য করে তিনি দুদকের একটি শীর্ষ কর্মকর্তার কাছ থেকে ঘুষ দাবি করা হয়েছে দাবি করেন।
যদিও দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়টিকে “যাচাইবিহীন ও মানহানিকর” হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্য পর্যালোচনায় চূড়ান্ত কোনো ভিত্তি নেই এবং এটি কমিশনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও মানহানি ছড়ানোর চেষ্টা।
দুদক আরও জানিয়েছে, বর্তমানে একাধিক প্রতারক চক্র কমিশনের নাম ব্যবহার করে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নিতে চেয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কমিশন উল্লেখ করেছে, এমন প্রতারণামূলক ফোনকল বা বার্তা পেলে অবিলম্বে তাদের টোল-ফ্রি হটলাইন (১০৬) অথবা নিকটস্থ কার্যালয়ে জানানোর জন্য।
হাসনাত আবদুল্লাহ তার পোস্টে দাবি করেন, “দুদকের সর্বনিম্ন রেট এক লাখ টাকা” এবং টাকা না দিলে “খবর করে ছেড়ে দেওয়া হবে।” তবে দুদকের বক্তব্য এই প্রমাণের কোনো ভিত্তি নেই; বরং সেটি একটি প্রতারণা।
এই ঘটনা থেকে শিক্ষা হিসেবে সমাজকে আরও সচেতন হতে দুদক বারবার আহ্বান জানিয়েছে। কমিশন বলছে, কর্তৃপক্ষের নামে প্রতারণা হলে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়া এবং ব্যক্তিগতভাবে টাকা বা সুবিধা দিতে না পরামর্শ দিচ্ছে।