Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
চীন ও তাইপেই আবার নতুন রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে যাচ্ছে। দুই দেশের মধ্যকার ‘ইতিহাস-নির্মাতা’ বিবেচনা নিয়ে পরস্পরের বিষয়ভিত্তিক ব্যাখ্যাভেদের রেশ ধরেছে। বেইজিং থেকে বলা হয়েছে, “ইতিহাসগতভাবে চীনেই তাইপেই”, তাই “আগ্রাসন” কোনও অর্থহীন শব্দ চীনের মতে, কারণ এটি তাঁদের নিজস্ব ভূমি ।
চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক দপ্তরের মুখপাত্র ঝু ফেংলিয়ান বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “তাইওয়ান এখনো পুরোদমে একত্র আনাগোনা হয়নি, তবে ঐতিহাসিক ও আইনগতভাবে দুই দিকের জনগণ একই চীনের অধীনেই রয়েছে”—এমন বক্তব্য দুই দেশের ঐতিহ্যবোধকে পরিবর্তনহীন ধরে নেবে চীন ।
অন্যদিকে, তাইপেইয়ের প্রেসিডেন্ট লাই চিং‑তে এক ভাষণে বলছেন, “তাইওয়ান অবশ্যই একটি দেশ”, ইতিহাস ও আইনের দিক থেকে চীনের দাবিকে একেবারে অগ্রাহ্য । তিনি আরও যোগ করেন, দেশের ভবিষ্যৎ শুধুমাত্র ২৩ মিলিয়ন তাইওয়ানিজ মানুষের ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে ।
তাইওয়ানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েলিংটন কু বলেছেন, বিশ্বযুদ্ধ দ্বিতীয়ের ইতিহাস ভুলভাবে উপস্থাপনার চেষ্টা হচ্ছে — যুদ্ধ জিতেছে রিপাবলিক অব চীন, না চীনের কমিউনিস্ট সরকার ।
প্রসঙ্গত, গত মার্চ থেকে চীনের প্রতিরক্ষা বাহিনী উপকূল ও আকাশপথে নিয়মিত মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে, যা কয়েকটি রাজপথে উত্তেজনা বাড়িয়েছে । সাধারণ জনগণের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব নতুন বিদ্বেষ তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করছে।
তবে এমন ধ্বনির মাঝেও, দুই পক্ষই “শক্তিশালী কড়াকাড়ি” না নেওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ নয়—এই কথা একাধিকবার উচ্চারণ করেছেন উভয় সরকারের মুখপাত্র ও নেতা।
সূত্রঃরয়টার্স