গলে হতাশাজনক বোলিংয়ের পর কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবে নিজেদের খোলস ছেড়ে বের হলো শ্রীলঙ্কা। একেবারে অন্য রূপে দেখা দিল তাদের বোলিং ইউনিট। আবহাওয়া ও পিচের সহায়তা থাকলেও সফরকারী বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে দারুণভাবে ভেঙে দিলেন লঙ্কান বোলাররা। বিশেষ করে অভিষিক্ত সোনাল দিনুশা ও পেসার আসিথা ফার্নান্দোর আগুন ঝরানো বোলিংয়ে টাইগারদের ইনিংস থেমে গেল মাত্র ২৪৭ রানে।
প্রথম দিন সকালে দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে শুরুটা করে দেন আসিথা। ম্যাচের চতুর্থ ওভারে তিনিই বোল্ড করেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক। তবে সেই জুটি ভাঙে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার দারুণ এক স্পিনে মুমিনুলকে ফেরানোর মাধ্যমে।
বৃষ্টির বাধা ছিল দ্বিতীয় সেশনে। তবে তার মাঝেও ছন্দ হারাননি লঙ্কান বোলাররা। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে চাপে রাখেন সফরকারীদের। পিচে বল টার্ন করছিল, বৃষ্টি খেলা বন্ধ করায় ব্যাটারদের মাঠে থিতু হওয়ার সুযোগও ছিল না তেমন।
তবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যেও ছিল কিছু সাহসী ইনিংস—সাদমান ৪৬, মুশফিক ৩৫, লিটন ৩৪, মিরাজ ৩১ ও তাইজুল ৩৩ রান করে দলকে কিছুটা ভরসা দেন। নাঈম হাসানও করেন ২৫ রান। তবুও একাধিক সহজ ক্যাচ ফেলে বাংলাদেশের স্কোরকে বড় হওয়ার সুযোগ দিয়েছিল স্বাগতিকরা। না হলে ২৪৭-এ থামার আগেই অলআউট হয়ে যেতে পারত টাইগাররা।
বল হাতে অভিষেকে নজর কাড়লেন সোনাল দিনুশা। ৯.৩ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে শিকার করলেন ৩ উইকেট। সমান সংখ্যক উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো। বিশ্ব ফার্নান্দো নেন ২ উইকেট। রত্নায়াকে একটিসহ বাকি উইকেটটি পান ধনাঞ্জয়া।
বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়ার পর ব্যাট হাতে মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা। শুরুটা ছিল আক্রমণাত্মক ও আত্মবিশ্বাসী। পাথুম নিশাঙ্কা (৫১ বলে ৩৫*) ও লাহিরু উদারা (৪০ বলে ২৯*) স্কোরবোর্ডে তুলেছেন ৬৫ রান মাত্র ১৫ ওভারে। এখনো তারা কোনো উইকেট হারায়নি।
প্রথম ইনিংসে এখনো ২১২ রানে পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা, তবে ব্যাটিংয়ের ধরন ও পিচের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, তারা বড় লিড নেওয়ার লক্ষ্যেই এগোচ্ছে।
খেলার হাল: (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত)
বাংলাদেশ: ২৪৭ (সোনাল ও আসিথার ৩টি করে উইকেট) শ্রীলঙ্কা: ৬৫/০ (১৫ ওভার, নিশাঙ্কা ৩৫*, উদারা ২৯*) লঙ্কানরা পিছিয়ে: ১৮২ রানে