Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্ক:
মাদক মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিকাশচন্দ্র বিশ্বাস ছয় বছর ধরে খুলনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন। তার দাবি, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। এর আগেও তিনি নিজের পক্ষে সাফাই দিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এবার তার স্ত্রী রিমা বিশ্বাস আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে সরাসরি প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘তিন দিনের সুযোগ দিন, আমার স্বামী নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন।’রিমা বিশ্বাস জানান, তার স্বামী গত ছয় বছর ধরে ওই মামলায় কারাভোগ করছেন। মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর তিনি প্রায় তিন বছর ধরে কনডেম সেলে আছেন। রিমার বলেন, আমার স্বামী নির্দোষ। মামলাটি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়নি।
আমাদের পক্ষে কোনো দক্ষ আইনজীবী ছিল না। আমরা খুবই গরিব মানুষ।রিমা বিশ্বাস আরও জানান, জেল থেকে তার স্বামী নিজ হাতে ছয় পাতার একটি চিঠি লিখে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ চেয়ে বলেন, ‘তিন দিন সময় দিন, যদি নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারি, তাহলে ফাঁসি দিন।’ চিঠিতে এমন সাহসী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিকাশচন্দ্র বিশ্বাস।চিঠিতে বিকাশচন্দ্র বিশ্বাস লেখেন, একজন মানুষ যখন অথৈ সাগরে পড়ে যান, তখন একটি ভাসমান পাতাও বাঁচার আশার প্রতীক হয়ে ওঠে। আমিও সেই দিশেহারা পথিক, জানি না আমার এই আর্তনাদ কেউ শুনবেন কিনা। গরিবের কান্না কেউ বোঝে না, গরিব মানেই যেন এক অভিশপ্ত জীবন। আমার আবেদন, আমাকে শুধু একবার উচ্চ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর সুযোগ দিন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি- তিন দিনের মধ্যে নিজেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণঃ করে দেব।
তিনি আরও লিখেছেন, আমি কোনোভাবেই এই মামলার সঙ্গে জড়িত নই। একজন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড মানে শুধু তাকেই নয়, তার পুরো পরিবারকেই মৃত্যুর সাজা দেওয়া। যদি আমি নিজেই নিজের মামলা উপস্থাপন করে নির্দোষ প্রমাণে ব্যর্থ হই, তবে উচ্চ আদালত যেন দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করার নির্দেশ দেন।
রিমা বিশ্বাস জানান, তারা আগের আইনজীবীকে বাদ দিয়ে এখন ব্যারিস্টার শিশির মনিরের শরণাপন্ন হয়েছেন। তার দাবি, শিশির মনির তাদের কাছ থেকে কোনো সম্মানি নিচ্ছেন না। রিমার কথায়, আমি আর আমার মা খুলনা কোর্টের সামনে ডিম বিক্রি করি। এই কষ্টের জীবন থেকে মুক্তি চাই- শুধু ন্যায্য বিচার চাই।উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর একটি মাদক মামলায় বিকাশচন্দ্র বিশ্বাসকে মৃত্যুদণ্ড দেন নিম্ন আদালত।