26.2 C
Dhaka
শনিবার, জুন ২৮, ২০২৫

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ভবিষ্যৎ কোন পথে

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

অনলাইন ডেস্ক :

ইরানে মার্কিন বিমান হামলার পর থেকেই দেশটির ফর্দো ও নাতাঞ্জ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিআইএ) একটি প্রাথমিক গোপন মূল্যায়ন প্রতিবেদন ফাঁস করে জানিয়েছে, হামলায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা মাঝারি থেকে গুরুতর হতে পারে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ওই কেন্দ্রগুলো ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে গতকাল শুক্রবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি বোমা হামলায় দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ‘অত্যধিক ও গুরুতর’ ক্ষতি হয়েছে। এখন প্রশ্ন থেকেই যায়– ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উপযোগী মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল নষ্ট করতে পেরেছে কিনা।

ইরান কী চায়: ইরানে মার্কিন হামলার পর প্রথমবার প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেছেন, হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ‘গুরুতর কিছু হয়নি’। যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ক্ষয়ক্ষতি এবং ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় কিনা, তা নিয়ে সাংঘর্ষিক দাবি ও মূল্যায়নের মধ্যেও তেহরান একটি বিষয় স্পষ্ট করেছে– তারা পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে পিছু হটবে না।

 

স্থাপনাগুলো কতটা ক্ষতিগ্রস্ত: ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার সুযোগ না থাকায় কেউই এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সেগুলো পুনর্গঠনে কয়েক বছর লেগে যাবে।

২০১৫ সালের চুক্তি কি আবার কার্যকর সম্ভব: ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সই হওয়া ‘যৌথ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা’ বা জেসিপিওএ ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে একমাত্র সফল আন্তর্জাতিক চুক্তি। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ওবামার করা জেসিপিওএতে আর ফিরবেন না। কিন্তু এমন একটি নতুন চুক্তি করতে পারেন, যা মূলত জেসিপিওএর মতোই হবে।

ইরান যদি আবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে: ‘ইরান যদি বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি চালাতে চায়, তারা সেটা চালাতে পারে, বিশ্বের অনেক দেশ যেমনটা চালায়। এ জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান আমদানি করলেই হয়’– গত এপ্রিল মাসে পডকাস্ট ‘অনেস্টলি’তে সাংবাদিক বারি ওয়েইসকে বলেছিলেন মার্কো রুবিও। ‘কিন্তু তারা যদি নিজেরাই সমৃদ্ধকরণে (ইউরেনিয়াম) অনড় থাকে, তাহলে তারা হবে বিশ্বের একমাত্র দেশ, যাদের কোনো অস্ত্র কর্মসূচি নেই, যা সত্যিই সমস্যার’। যুক্তরাজ্যের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরান-বিষয়ক ইতিহাসবিদ আলী আনসারি আলজাজিরাকে বলেন, ইরানের ভেতর থেকেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধের আহ্বান উঠেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইরানি কর্মকর্তারা যেসব জোরাল বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে, তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি পরিত্যাগ করার মতো অবস্থায় নেই।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে মৃত্যু আর ধ্বংসের দৃশ্যের মুখোমুখি হবেন খামেনি

অনলাইন ডেস্ক : ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নেতা, ৮৬ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর থেকে...