| Your Ads Here 100x100 |
|---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইউক্রেনের প্রধান সামরিক কমান্ডার জানিয়েছেন, দেশের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর কোস্তিয়ান্টিনিভকার আশপাশে নতুন করে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। রুশ বাহিনী শহরটি দখলের জন্য আক্রমণ চালাচ্ছে, তবে ইউক্রেনীয় সেনারা তাদের হামলা প্রতিহত করছে।
ইউক্রেনের সর্বোচ্চ কমান্ডার ওলেক্সান্ডার সিরস্কি শনিবার টেলিগ্রামে লিখেছেন, “শত্রু কোস্তিয়ান্টিনিভকার দিকে এগোচ্ছে, কিন্তু বড় ক্ষতি সত্ত্বেও তারা কোনো বড় সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। রুশ বাহিনী তিনটি সেক্টরে আমাদের প্রতিরক্ষা ভেদ করার চেষ্টা করছে।”
কোস্তিয়ান্টিনিভকার পাশাপাশি পশ্চিমের পোক্রোভস্ক শহরও ক্রেমলিনের কৌশলগত লক্ষ্যস্থল, যেখানে তীব্র লড়াই চলছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় সামরিক মুখপাত্র ভিক্টর ত্রেহুবভ।
অন্যদিকে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা ডনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের সীমান্তের কাছে চেরভোনা জিরকা গ্রাম দখল করেছে। তবে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ এই দাবি অস্বীকার করেছে।
২০১৪ সালের পর থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল – লুহানস্ক, ডনetsk, জাপোরিজ্জিয়া ও খেরসন নিয়ন্ত্রণের দাবি করে আসছে, তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। বর্তমানে তারা দেশের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা দখল করে আছে।
এই দীর্ঘ সংঘাতের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে রুশ বাহিনীর ধীরগতির অগ্রযাত্রায় কোস্তিয়ান্টিনিভকা ও আশেপাশের শহরগুলোর অবকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ ভুগছে। ইউক্রেনীয় সেনারা প্রতিরক্ষা লাইন দৃঢ় রেখে শহর রক্ষায় মরিয়া।
এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা ও সমর্থনের ওপর নির্ভর করছে কিয়েভের যুদ্ধজীবন। ইউক্রেনের সফল প্রতিরোধই এখনো তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার মূল চাবিকাঠি।
সূত্র: রয়টার্স
