Your Ads Here 100x100 |
---|
স্পোর্টস ডেস্কঃ
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই দুই প্রান্তে দুই চিত্র। একদিকে উদযাপন চেলসির খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের, অন্যদিকে হতাশায় দাঁড়িয়ে থাকা বেনফিকার ফুটবলাররা। তাদেরই একজন আনহেল ডি মারিয়া—চোখ ভেজা, কাঁধ ঝুলে পড়া, কল্পনাতেও হয়তো এই বিদায়ের মুহূর্তটা আঁকেননি।
এই হার শুধু টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়াই নয়, বরং এক গৌরবময় ইউরোপ অধ্যায়েরও ইতি। আর্জেন্টাইন তারকা আনহেল ডি মারিয়া ২০০৭ সালে রোজারিও সেন্ট্রাল ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইউরোপে, গন্তব্য ছিল পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা। সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁর ইউরোপ জয়ের পথচলা।
এরপর ইতিহাস! রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ, খেলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, প্যারিস সাঁঁ জার্মাঁ ও জুভেন্টাসে। একমাত্র ইউনাইটেড ছাড়া বাকি সব ক্লাবে রেখেছেন নিজের দক্ষতার স্বাক্ষর। খেলে গেছেন আক্রমণভাগে, মিডফিল্ডে, উইংয়ে—যেখানে দরকার, সেখানেই।
৩৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার গত মৌসুমে ফিরে আসেন নিজের ইউরোপ-শুরুর ক্লাব বেনফিকায়। হয়তো জানতেন, এবারই শেষ। চেলসির বিপক্ষে সেই শেষ ম্যাচে হেরে চোখের জলে ভাসলেন কিংবদন্তি।
এখন ফেরার পালা শৈশবের ক্লাবে—রোজারিও সেন্ট্রাল। ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে প্রায় দুই দশকের এক মহাকাব্যিক ক্যারিয়ার শেষে সেখান থেকেই টানতে চান বিদায়ের শেষ লাইন। ইউরোপ তাকে দিয়েছে সাফল্য, সম্মান, পরিচিতি—ডি মারিয়া ফিরিয়ে দিয়েছেন ভালোবাসা, শৈল্পিক ফুটবল ও কিছু অবিস্মরণীয় মুহূর্ত।