Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আন্দোলনের একপর্যায়ে তারা ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “হয় আমরা বাঁচবো, নয়তো মরবো। বেঁচে থাকলে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করবো, আর মরলে মরেই যাবো।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক। ৫ জুন কোর্টের রায়ের পর দেশজুড়ে ছাত্রদের মধ্যে যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, তা থেকেই গড়ে ওঠে ঐতিহাসিক গণআন্দোলন।
৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘এক দফা’ ঘোষণা দেন নাহিদ। এর মাত্র দুইদিন পরই পতন ঘটে দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের।
নাহিদ জানান, ৫ জুন থেকে আন্দোলন শুরু হলেও ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের বর্বর হামলা, নারী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন এবং ১৬ জুলাই আবু সাঈদের শহীদ হওয়া আন্দোলনের গতিপথ পাল্টে দেয়। এরপর আন্দোলন আর শুধু কোটা সংস্কারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না—এটি হয়ে ওঠে সরকারের পতনের আন্দোলন।
সরকার যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে ক্যাম্পাস খালি করে, তখন তারা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কারফিউ উপেক্ষা করেও আন্দোলন চালিয়ে যায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
নাহিদ বলেন, তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয় এবং জোর করে ভিডিও বার্তা নেওয়া হয়। এরপর আন্দোলন থামাতে চাইলেও ব্যর্থ হয় সরকার।
অবশেষে ৫ আগস্ট সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নেয়, শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন এবং জনগণের অভ্যুত্থানে সরকারের পতন ঘটে। নাহিদ বলেন, “এটি ছিল ইতিহাসের এক চূড়ান্ত মুহূর্ত—একটি প্রজন্ম নিজেদের মুক্তির জন্য যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তা একদিন পাঠ্যবইয়ে থাকবে।”