Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
থাইল্যান্ডের সংবিধান আদালত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্ন শিনাওয়াত্রাকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। দেশটির সরকার একাধিক দিক থেকে চাপের মুখে থাকায় এবং অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে এই ঘটনা বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
৩৬ জন সেনেটরের একটি আবেদন মঞ্জুর করে আদালত পেতংটার্নার বিরুদ্ধে অবিশ্বাস ও নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগ গ্রহণ করে। অভিযোগের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয় জুন মাসের ১৫ তারিখে একটি গোপন ফোনালাপের লিক। ওই আলাপে কম্বোডিয়ার প্রভাবশালী সাবেক নেতা হন সেনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত কমানোর চেষ্টা করা হয়, যা দেশীয় উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়।
এই ঘটনার পর পেতংটার্নের জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নরম হয়ে গেছে, বড় একটি দল জোট থেকে বেরিয়ে এসে তাকে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ করেছে। পাশাপাশি আন্দোলনকারীরা নতুন সরকার দাবিতে আরো বিক্ষোভের হুমকি দিয়েছে।
১০ মাসেরও কম সময়ে এই পরিস্থিতি তার জন্য রাজনৈতিক জীবনের বড় চ্যালেঞ্জ। পেতংটার্ন শিনাওয়াত্রা পরিবারে চতুর্থ ব্যক্তি যারা প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। দেশের সেনাবাহিনীর শক্তিশালী প্রভাব এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবে এই সংকট গভীরতর হচ্ছে।
আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে পেতংটার্ন ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং বলেছেন, “আমার আসল উদ্দেশ্য ছিল দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং সৈন্যদের জীবন বাঁচানো।”
পেতংটার্নের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে দায়িত্ব নেন উপপ্রধানমন্ত্রী সুড়িয়া জুয়াংরুংরুংকিত। পেতংটার্ন ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিক্রিয়া জানাবেন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
অন্যদিকে, তার প্রভাবশালী পিতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রা দেশীয় আদালতে গুরুতর মানহানির অভিযোগের মুখোমুখি রয়েছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। থাকসিন অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং সিংহাসনের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেছেন।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই শেয়ার বাজারে সাড়াশব্দ লক্ষ্য করা গেছে।