Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের হাতে নতুন শক্তি তুলে দিয়েছে। এখন তিনি তার সামাজিক নীতিমালা বাস্তবায়ন ও সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্তের উদ্যোগে আরও আগ্রাসী হবেন বলে জানানো হয়েছে।
রায় অনুযায়ী, নিম্ন আদালতগুলো আর ‘জাতীয় পর্যায়ে’ নীতির উপর স্থগিতাদেশ দিতে পারবে না—যা দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্পের পরিকল্পনা থামিয়ে রেখেছিল। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন দ্রুত নিচু আদালতগুলোতে গিয়ে এসব স্থগিতাদেশ বাতিলের চেষ্টা চালাবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ‘ডিওজি’-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ফেডারেল দপ্তরে ছাঁটাই পরিকল্পনা, যা আদালতের আদেশে আটকে ছিল।
ট্রাম্প এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, নাগরিকত্বের অধিকার সংশোধন, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, সমকামী ও রূপান্তরকামীদের জন্য করদাতাদের অর্থে চিকিৎসা বন্ধ এবং ডাইভার্সিটি প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ এখন তার প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বলেন, “এই রায়ের ফলে আমরা এখন সহজেই আদালতে গিয়ে আগের স্থগিতাদেশে বাঁধা পড়া নীতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য আবেদন করতে পারব।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন এখন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইস্যুতে আরও ডানপন্থী অবস্থান নেবে—যেমন অভিবাসন, লিঙ্গ পরিচয় এবং ডাইভার্সিটি, ইকুইটি ও ইনক্লুশন (DEI) বাতিল।
তবে ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন অঙ্গরাজ্যগুলো বলছে, এই রায় সব পথ বন্ধ করেনি। তারা এখনও কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে সারাদেশব্যাপী আদেশ আদায়ের সুযোগ পাবে—বিশেষ করে গ্রুপ বা ক্লাস অ্যাকশন মামলার ক্ষেত্রে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরপরই ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নীতির বিরুদ্ধে মামলাকারীরা তাদের মামলা ক্লাস অ্যাকশন হিসেবে গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছেন।