Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
থাইল্যান্ডে রাজনীতিতে ফের উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর। সংবিধান লঙ্ঘন ও নৈতিকতার প্রশ্নে ৩৬ জন সিনেটরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার তাকে দায়িত্ব থেকে বিরত থাকতে বলেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, পেতংতার্নকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে। এর মধ্যে তিনি মন্ত্রিসভার অন্য পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এরইমধ্যে তাকে সংস্কৃতি মন্ত্রীর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, ৩ জুলাই শপথ গ্রহণ করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পরিবহনমন্ত্রী সুরিয়া জুয়াংরুয়াংকিট, যিনি থাই রাজনীতির অভিজ্ঞ মুখ।
পেতংতার্নের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে একটি স্পর্শকাতর ফোনালাপে থাই সেনাবাহিনী সম্পর্কে সমালোচনা করেন, যা ফাঁস হয়ে যায়। এই ফোনালাপের ভিত্তিতেই তদন্ত করছে দুর্নীতি বিরোধী কমিশন (NACC)। এই তদন্তের পর সুপ্রিম কোর্টেও মামলার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজপথেও চাপ বাড়ছে। শনিবার কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়ে পেতংতার্নের পদত্যাগ দাবি করেছে। আয়োজকরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পদত্যাগ না করলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
অন্যদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধেও চলছে রাজদ্রোহমূলক বক্তব্যের মামলা। যদি দোষী প্রমাণিত হন, ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।