26.2 C
Dhaka
শুক্রবার, জুলাই ৪, ২০২৫

‘আ.লীগ করেও অনেকেই,জুলাই আন্দোলনে ছিলেন’

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
খবরের দেশ ডেস্ক :
টিভি উপস্থাপক ও সাংবাদিক জিল্লুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক স্বৈরশাসকের দোষর যারা ছিলেন না। এমনকি দল করবার পরেও যারা অন্যায়গুলোকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। প্রকাশ্য হয়তো কিছু বলেননি, তারাসহ সবাই এই আন্দোলন সংগ্রামে (জুলাই-আগস্ট) ছিলেন। নিঃসন্দেহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, তারা সামনের সারিতে ছিল।
ধাপে ধাপে তারা একটা পর্যায়ে একেবারে শেষ পর্যায় পর্যন্ত বলেছেন—এটা শুধুই কোটাবিরোধী আন্দোলন। এর কোনো রাজনৈতিক রূপ আছে, সেটা তারা বলেননি। অনেক কিছুই তারা বলেননি। কিন্তু শেষ পর্যায়ে আবু সাঈদের মৃত্যুর পর দ্রুত ঘটনা বদলে যেতে থাকে।
মানুষ রাস্তায় নামতে থাকে। সন্তান যখন রাস্তায় নেমে গেছে, তখন মা বাবারা নেমেছে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে দেশের সমসাময়িক রাজনীতির চিত্র তুলে ধরে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, এভাবে সমাজের সব স্তরের সব শ্রেণির মানুষ রাস্তায় নেমেছে এবং সরকারের পতন হয়েছে।

সরকারপ্রধান পালিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। সেই আন্দোলনের কৃতিত্ব সামনের সারিতে যে কয়জন ছাত্রনেতা ছিলেন, তাদের মধ্যে কয়েকজন অনেক বেশি নিয়েছেন। সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তারা ক্ষমতার অংশীদার হয়েছেন। এরপরে তারা রাজনৈতিক দল করবার উদ্যোগ নিয়েছেন। আগে তারা এই কথাগুলো বলেননি।
এটা বললে হয়তো তাদের কথা কেউ শুনতোও না। তাদের কেউ বিশ্বাসও করতো না, তারাই সরকারে যাবেন, সরকার গঠন করবেন, তারাই রাজনৈতিক দল করবেন এবং তারাই বাংলাদেশের সব ন্যারেটিভ ঠিক করবেন। মানুষ তাদের পেছনে যেত না। এরপর এদের যখন আমরা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখি, এদের যখন মুখের ভাষা শুনি এবং যখন আমরা বুঝি আমি নিজেসহ বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষ তাদের শ্রদ্ধা করেছে, ভালোবেসেছে, স্নেহ করেছে। সম্মানের সর্বোচ্চ স্থানে রাখতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, সেই মানুষগুলো যখন ৮ আগস্টের পর থেকে ক্রমাগত এই ছেলে মেয়েগুলোকে বিশেষ করে ছেলেগুলোকে বদলে যেতে দেখেছে, সবাই নয়। কারণ ওই আন্দোলনে যারা সমন্বয়ক ছিলেন, সবাই তাদের সঙ্গে দল করেননি, সবাই ক্ষমতার অংশীদার হননি। বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাদরাসার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের শিক্ষাঙ্গনে ফেরত গেছে। এই রাজনৈতিক দল গঠন করবার সময় যারা সামনে, ছিলেন সবাই একমত হন এবং যারা যারা রাজনৈতিক দলে ঢুকেছেন, তাদের অনেকে আবার দল ছেড়ে চলেও যাচ্ছেন। যেমন একটা বড় উদাহরণ সবাই তার নাম জানি। উমামা ফাতেমার কথা আমরা বলতে পারি। এই যখন অবস্থা এবং আমরা যখন লক্ষ করছি যে, তারা সবকিছুতে ডিটেক্ট করবার চেষ্টা করছে। তাদের কথাই সবাইকে শুনতে হবে। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে শুনতে হবে, তখন তো সংশয় জাগতেই পারে। শুধু তাই নয়, তাদের কথার সঙ্গে আমি-আপনি পছন্দ করি না, এমন অনেক রাজনৈতিক দলের তাদের সঙ্গে সম্পর্ক মিলে যায়, তখন তো আমাকে আঁতকে উঠতে হয়।
জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে এর চাইতে বড় গৌরবজনক অধ্যায় কিছু নেই। নেতৃত্ব নিয়ে নানা রকমের প্রশ্ন থাকতে পারে। কেউ কেউ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কেউ কেউ জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যদের নিয়ে নানাভাবে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সেটা আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির মধ্যে আছে কিন্তু আমি মনে করি তাদের প্রত্যেককে সম্মান জানানো উচিত। শ্রদ্ধার জায়গা রাখা উচিত। সবকিছু খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বের করবার দরকার নাই। তাতে পরিস্থিতি দুর্গন্ধে ভরে ওঠে। সেখান থেকে যদি আপনি বিবেচনা করেন নিঃসন্দেহে ২৪ এর জুলাই-আগস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

ফোন না ধরলে ট্রাম্প রাগ করতে পারেন: মন্তব্য করে হাসালেন পুতিন

  আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে শুক্রবার (৪ জুলাই) এক ফোনালাপ নির্ধারিত হয়েছিল, যা...