Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এজেন্ডার অংশ হিসেবে প্রস্তাবিত বিশাল ট্যাক্স-কাট ও ব্যয়বৃদ্ধি বিল নিয়ে ফের বিতর্কে জড়িয়েছে রিপাবলিকান দল। বিলটি নিয়ে বুধবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) আলোচনা শুরু হয়। হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল রিপাবলিকান হলেও, অভ্যন্তরীণ বিভাজনের কারণে বিল পাস অনিশ্চিত।
বিলটি সিনেটে পাস হয়েছে খুবই অল্প ব্যবধানে। এতে আগামী দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়বে বলে জানিয়েছে নিরপেক্ষ কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস। এই বিলের ফলে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য বিমা হারাতে পারেন। বিশেষত মেডিকেইড কর্মসূচিতে প্রায় ৯০০ কোটি ডলারের কাটছাঁট নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
রিপাবলিকান দলের কট্টরপন্থীরা বলছেন, এই বিল খরচ কমানোর বদলে আরও দেনা বাড়াবে। কংগ্রেসম্যান রালফ নরম্যান বলেন, “সিনেট যা করেছে তা চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন। আমি এই বিলের বিপক্ষে ভোট দেব।”
তবে হাউস স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, “আমরা দ্রুত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পূর্ণ এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছি। আশা করছি ৪ জুলাইয়ের আগেই ‘ওয়ান বিউটিফুল বিল’ পাস হবে।”
ডেমোক্র্যাটরা বিলটির বিরুদ্ধে একত্রিত। হাউসের ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফরিস বলেন, “এটি আমেরিকান স্বাস্থ্যসেবার ওপর সবচেয়ে বড় হামলা।”
এদিকে ওয়াশিংটনের খারাপ আবহাওয়ার কারণে অনেক কংগ্রেসম্যানকে গাড়িতে করে কংগ্রেসে পৌঁছাতে হয়। সময় সংকটের কারণে ৪ জুলাইয়ের সময়সীমা পূরণ কঠিন হয়ে পড়েছে। বিল পাসে ট্রাম্প নিজেই হুইপ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।