Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
গাজায় চলমান সংঘর্ষ বন্ধে আমেরিকার নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে যুদ্ধের সমাপ্তি হিসেবে গ্যারান্টি দিতে চাইছে হামাস, বলেছে গোষ্ঠীর এক উৎস। এদিকে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় আরও অসংখ্য নাগরিক নিহত হয়েছেন।
গত ২১ মাস ধরে চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে অস্ত্রবিরতি ও বন্দি মুক্তির সম্ভাবনা বাড়ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। আমেরিকা ইরান ও ইসরায়েলের ১২ দিনের বায়ু যুদ্ধ শেষে অস্ত্রবিরতি আনতে সক্ষম হলেও, গাজার মাটিতে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইসরায়েল হামাসের সাথে ৬০ দিনের অস্ত্রবিরতির শর্তগুলো মেনে নিয়েছে। কিন্তু হামাস নিশ্চিত করতে চায়, এই অস্ত্রবিরতি যুদ্ধের অবসানে রূপ নেবে কি না।
মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি নিশ্চিত করতে কাজ করছেন, যাতে হামাস দুই মাসের অস্ত্রবিরতি প্রস্তাব মেনে নেয়।
প্রস্তাবিত চুক্তিতে রয়েছে ধাপে ধাপে ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দি মুক্তি এবং ১৮ জন মৃতদেহ ফেরত দেওয়া। গাজায় বাকি ৫০ বন্দির মধ্যে আনুমানিক ২০ জন বেঁচে আছেন।
গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখনও মৃত্যু ঘটছে। একটি স্কুলে হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন, যেখানে বস্তিবাসী পরিবাররা আশ্রয় নিয়েছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এবং সতর্কতা অবলম্বনের কথা জানিয়েছে। যুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে, যা এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনীর প্রাণ নিয়েছে।