Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে ফেরি ডুবে কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে উদ্ধারকারীরা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন।
জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার সুরাবায়া অফিস জানিয়েছে, জাভা দ্বীপের পূর্ব উপকূলের বান্যুওয়াঙ্গি থেকে বালি যাওয়ার পথে স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে নৌযানটি ডুবে যায়। এতে ৫৩ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু ছিল। এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ফেরিটি ডুবে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে ফেরি অপারেটর ইঞ্জিনের সমস্যার কথা জানিয়েছিল। অন্যদিকে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘খারাপ আবহাওয়া’ এর কারণ। প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তো সৌদি আরবে সরকারি সফরে থাকাকালীনই তাৎক্ষণিক জরুরি ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ প্রকাশিত একটি তালিকা অনুযায়ী, বেঁচে যাওয়াদের অনেকেই উপকূলীয় শহর বান্যুওয়াঙ্গির বাসিন্দা, অন্যরা জাভার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছে।
বান্যুওয়াঙ্গির বাসিন্দা ইমরন বলেন, ফেরিটি তিনবার তীব্রভাবে দুলে এরপর দ্রুত ডুবে যায়। ‘তৃতীয়বারই সমুদ্রের পানি যাত্রীদের কেবিনে প্রবেশ করেছিল’ বলে জানান তিনি। ইমরন ফেরির ফাঁক দিয়ে সাঁতরে বেরিয়ে সমুদ্রে ডুবে যান, তারপর লাইফ জ্যাকেট খুঁজে পান। পরে একজন জেলে তাকে উদ্ধার করেন।
এদিকে একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নৌযানে সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত যাত্রীসংখ্যার চেয়ে প্রকৃত যাত্রীর সংখ্যা বেশি ছিল। বিবিসি এমন কিছু পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে, যাদের স্বজনদের নাম ৬৫ জনের সরকারি তালিকায় নেই বলে তারা জানিয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ায় সরকারি যাত্রী তালিকার সঙ্গে প্রকৃত যাত্রীর সংখ্যার অমিল প্রায়ই দেখা যায়, যা উদ্ধার তৎপরতা ও নিহতদের শনাক্তকরণে জটিলতা সৃষ্টি করে।
এ ছাড়া যে নৌপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটি ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম ব্যস্ত একটি রুট, যা জাভা ও বালি দ্বীপের মধ্যে যাতায়াতকারী স্থানীয়রা প্রায়ই ব্যবহার করে। সমুদ্রপথে দুর্ঘটনা ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ঘটে।
এই বিস্তৃত দ্বীপরাষ্ট্রে প্রায় ১৭ হাজার দ্বীপ রয়েছে, যেখানে নিরাপত্তাবিধি কার্যকরভাবে প্রয়োগ না হওয়ার বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগের কারণ চলতি বছরের মার্চে বালির উপকূলে ১৬ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা ডুবে গেলে এক অস্ট্রেলীয় নারী নিহত হন।