Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে “হতাশ” হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, পুতিন এমন কোনো ইঙ্গিত দেননি যে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ থামাবে।
ট্রাম্প জানান, তিনি বিশ্বাস করেন পুতিন যুদ্ধ বন্ধে আগ্রহী নয়। শুক্রবার (৪ জুলাই) জেলেনস্কির সঙ্গে তিনি আবারও কথা বলবেন । এর আগে ট্রাম্প হেলসিঙ্কিতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে অনুরূপ হতাশা প্রকাশ করেছিলেন ।
উইপটির মাইক্রোফোনে ট্রাম্প বলেন, “আমি রীতিমতো হতাশ হয়েছি তার সঙ্গে কথোপকথনে… আমি বলেছি, ‘আমি মনে করি ও (পুতিন) যুদ্ধ থামানোর জন্য আগ্রহী নয়’।”
ফোনালাপের কিছু ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনের উত্তরে ড্রোন আক্রমণ চালানো হয়, যা প্রমাণ করে যুদ্ধযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে । ওয়াশিংটন থেকে মস্কো, ইউক্রেন ও সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়েও কোন অগ্রগতি হয়নি বলে ট্রাম্প স্বীকার করেন ।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েকদিন থেকে ইউক্রেনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করেছে। ভিজনযোগ্য গোলাবারুদ কমে যাওয়ায় আমেরিকায় সংকট দেখা দিয়েছে । জেলেনস্কি জার্মানি সফরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্বল্পস্থায়ী হলেও এই সরবরাহ বন্ধ উত্তরে চাপ বাড়াবে। তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি এ বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী ।
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, “আমরা অস্ত্র দিচ্ছি, তবে আমরা দিয়েই চলেছি। এটা কমেনি, বন্ধও হয়নি… তবে বাইডেন এত বেশি অস্ত্র দিয়েছিলেন যে আমাদের নিজস্ব রিজার্ভ ফাঁকা হয়ে যাচ্ছিল।”
এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প-কংগ্রেস ঠাণ্ডা যুদ্ধের ন্যায় রাজনৈতিক চাপ ও সামরিক সহায়তার প্রশ্নে বিভক্ত। পুতিনও পূর্বে কোনো আনাগোনা ছাড়াই আলোচনা করতে রাজি কিন্তু ‘রুট কজ’-এর সমাধান না হলে যুদ্ধ থামবে না—এমন অবস্থান বজায় রেখেছে ।
এর ফলে আলোচনাকে কেন্দ্র করে আমেরিকান ও ইউরোপীয় যুক্তির মধ্যে তীব্র ঐক্যবাদ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে তা সামরিক মহড়ায় সহায়ক হবে কিনা তা সময় বলবে।