Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইসরায়েলের সঙ্গে বিধ্বংসী যুদ্ধে বিপর্যয়ের মুখে নিজেদের কৌশল পুনর্মূল্যায়নের কাজ শুরু করেছে লেবাননের শিয়া সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। তারা পুরোপুরি নিরস্ত্র না হলেও অস্ত্রভাণ্ডার সীমিত করার চিন্তায় রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র।
বিশেষ করে ইসরায়েলের লাগাতার হামলা, আর্থিক সংকট, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ এবং রাজনৈতিক অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ায় হিজবুল্লাহ এই সিদ্ধান্তে আসছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠী সিরিয়া থেকে অস্ত্র সরবরাহে সমস্যায় পড়েছে, কারণ বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সেই পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ ইতিমধ্যে দক্ষিণ লেবাননে কিছু অস্ত্রভাণ্ডার লেবানন সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে এবং আরও কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সমঝোতার ভিত্তিতে ছেড়ে দিতে পারে, যদি ইসরায়েল দক্ষিণ লেবানন থেকে সরে যায় এবং হামলা বন্ধ করে।
তবে সংগঠনটি হালকা অস্ত্র ও অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল রাখবে বলে জানানো হয়, যেগুলো তাদের মতে আত্মরক্ষায় প্রয়োজনীয়।
হিজবুল্লাহর অভ্যন্তরীণ আর্থিক সংকটও প্রকট। যুদ্ধপীড়িতদের সহায়তায় ৫০ মিলিয়ন ডলার দিলেও আরও ২৫ মিলিয়ন বাকি রয়েছে। অনেকে চেক পেলেও তা নগদায়ন করতে পারছেন না।
সব মিলিয়ে সংগঠনটি অস্ত্র সীমিত করে রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রমে গুরুত্ব দেবে—এমন ইঙ্গিত মিলছে। তবে পুরোপুরি নিরস্ত্রীকরণে এখনো সম্মতি নেই। ২০২৫ সালের নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখাও হিজবুল্লাহর জন্য এক “অস্তিত্বের লড়াই” বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
সূত্রঃরয়টার্স