Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
৬ জুলাই (রোববার) পালিত হবে পবিত্র মহররমের ১০ তারিখ আশুরা। বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় এই দিনে নানা আমল-আয়োজনে মেতে উঠে। তবে ইসলাম শরীয়তের আলোকে আশুরার কিছু প্রচলিত রুসুম-রেওয়াজ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শরীরে রক্তাক্তকরণ, তাজিয়া মিছিল, আলোকসজ্জা, মোমবাতি প্রজ্বলন, মর্সিয়া, রণ-প্রস্তুতির মহড়া ইত্যাদি আশুরার যে রেওয়াজ আছে, এগুলো ইসলামে স্থান পায় না। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাও শরীরে রক্তাক্ত করার হারাম ফতোয়া দিয়েছেন। এছাড়া আশুরার দিনে বিয়ে-বিবাহ থেকে বিরত থাকা ও নির্ধারিত নামাজ-দোয়া পড়ার কোনো নির্দেশনা নেই।
রোজার ক্ষেত্রে ইসলামে রয়েছে স্পষ্ট নির্দেশনা। নবী করিম (সা.) বলেছেন, আশুরার ১০ তারিখ রোজা রাখলে আগের বছরের গুনাহ মাফ হয়। এছাড়া ৯ ও ১০ মহররম একসঙ্গে রোজা রাখার সুন্নত রয়েছে। এটি ইহুদিদের রোজা থেকে নিজেদের আলাদা রাখার জন্য প্রবর্তিত। কেউ কেউ ১০ ও ১১ তারিখ রোজা রাখেও।
বিশেষজ্ঞরা আহ্বান জানান, মুসলিমরা রুসুম-রেওয়াজের অতিরিক্ততা থেকে বিরত থেকে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইবাদত পালন করবে। আশুরায় শোহাদায়ে কারবালার স্মরণ ও আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনার তাওফিক কামনা করা উচিত।
আশুরার রোজা ও ইবাদত সর্বোচ্চ মর্যাদা পায়, কিন্তু অপ্রমাণিত রীতিনীতির থেকে দূরে থাকতে হবে মুসলমানদের।