Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে শুক্রবার (৪ জুলাই) এক ফোনালাপ নির্ধারিত হয়েছিল, যা দুই নেতার ক্ষমতায় আসার পর এটি ষষ্ঠ সরাসরি কথোপকথন।
এ সময় পুতিন মস্কোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। হঠাৎ তিনি বক্তৃতার মাঝেই থেমে যান এবং উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশে বলেন, “আমার এখন ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে হবে। দয়া করে আমাকে অপেক্ষা করতে দেবেন। ও রাগে চলে যেতে পারে।”
পুতিনের কল অপেক্ষা করানোর বিষয়টি সমালোচনামূলক হলেও তার বক্তব্যে উপস্থিত নেতারা হেসে ওঠেন। তার পর পুতিন মজার ছলে বলেন, “আমি তো ট্রাম্পের কথাই বলিনি—আমি পেসকভের জোরালো বার্তা দিয়েই কথা বলছিলাম।”
এই অদ্ভুত কূটনৈতিক ইঙ্গিত ওঠে এমন এক সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করেছে। উভয় দেশ রাশিয়ার হামলা নিয়েও টানাপোড়নে রয়েছে।
উল্লেখ্য, মার্চ মাসেও একই পরিস্থিতি হয়েছিল—পুতিন ট্রাম্পকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়েছিলেন বলে সূত্রের তথ্য। তবে এবার দৃশ্যটি বোঝায় কূটনীতিতে হাস্যরসও একটি অস্ত্র হতে পারে।
সম্মেলন শেষে দুপুরে স্বাভাবিক ভাবেই পুতিন মঞ্চ ত্যাগ করেন। ঐতিহ্য অনুসারে, যদিও কলের সময় হয়েছিল বিকেল ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে, তিনি তা ছাড়িয়ে এক ঘণ্টা দেরি করেন কল শুরুর আগে।
পুতিনের কৌতুকময় বক্তব্য বিশ্বমঞ্চে কূটনৈতিক জটিলতা আর প্রতিক্রিয়ার ভিন্ন ছাপ উপভোগ্য করে তুলেছে।