Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সুপারহিরো আর সিকুয়েলের যুগে দর্শক যখন হাঁপিয়ে উঠেছেন, তখন ভয়ের সিনেমাই ফিরিয়ে আনছে হলমুখী দর্শকদের।
এই বছর উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসে বিক্রি হওয়া টিকিটের ১৭ শতাংশ এসেছে হরর সিনেমা থেকে—যেখানে ২০২৪ সালে তা ছিল ১১ শতাংশ এবং এক দশক আগে মাত্র ৪ শতাংশ (সূত্র: কমস্কোর তথ্য)।
‘সিনার্স’ ও ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন: ব্লাডলাইন্স’-এর মতো হরর সিনেমাগুলোর সাফল্য, এবং আসন্ন ‘দ্য কনজুরিং: লাস্ট রাইটস’ ও ‘ফাইভ নাইটস অ্যাট ফ্রেডিজ ২’ দর্শক টানার আশাব্যঞ্জক উপকরণ হয়ে উঠেছে।
ব্লুমহাউসের সিইও জেসন ব্লাম বলেন, “ঘরে বসে ভয় পাওয়া যায় না, কিন্তু প্রেক্ষাগৃহে অন্ধকারে শতজন মানুষের সঙ্গে বসে সেই অভিজ্ঞতা ভিন্ন।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম বাজেটের কারণে হরর সিনেমায় ঝুঁকি নেওয়া সহজ হয়। নির্মাতা রায়ান কুগলার, জর্ডান পিল বা গুইলারমো দেল তোরোর মতো গুণী পরিচালকরা এখন হরর ধারায় কাজ করছেন।
২০২3 সালে যেখানে হলিউড ধর্মঘটে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল, সেখানে হরর সিনেমার ঘরানায় নতুন নির্মাণ ২১ শতাংশ বেড়েছে।
দর্শকদের কাছে এটি শুধু ভয় নয়, বরং একধরনের মানসিক পরিশোধনের সুযোগ—যেমনটা বলছেন চলচ্চিত্র বিশ্লেষক স্টিফেন ফেলো: “এই ঘরানায় আমরা বাস্তব জীবনের ভয়ের বিষয়গুলোকে রূপকভাবে মোকাবিলা করি।”
সূত্র: রয়টার্স