Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতিতে অব্যাহত লুটপাট আর অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে সমবায় অধিদপ্তরের তদন্তে। দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক অনিয়ম, সম্পত্তি আত্মসাৎ এবং হিসাব-নিকাশের গাফিলতি চলছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্তে জানা গেছে, সাবেক ও বর্তমান সব ব্যবস্থাপনা কমিটি সমানতালে অর্থ তছরুপে জড়িত। সাড়ে ৪৮ কাঠা জমি আত্মসাৎ, ২৬ লাখ টাকা শেয়ার বিক্রির টাকা ভাগ করে নেওয়া, ২৯ লাখ টাকা গ্যাস বিল বকেয়া এবং মাসে লাখ টাকার ক্যান্টিন বেচাবিক্রির পরও আয় না হওয়া—সবই দুর্নীতির প্রমাণ।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, ক্যান্টিন, ফাস্টফুড, দোকানসহ নানামুখী ব্যবসা থেকে কোটি টাকার লেনদেন হলেও নেই বার্ষিক অডিট, নেই আর্থিক রেকর্ড। কর্মচারীদের বেতন-বোনাস বকেয়া, অথচ নেই কোনো নিয়োগবিধি।
১৯৯৩ সালে কেনা জমি সাবেক নেতারা নিজেদের নামে লিখে নিয়ে ভোগ করছেন বা বিক্রি করে দিয়েছেন। বর্তমান বাজারমূল্যে যার দাম প্রায় ১০ কোটি টাকা। কিন্তু সমিতির অফিসে জমির একটি পর্চা ছাড়া নেই কোনো দলিল।
২০২৩ সালের নির্বাচনের ভিত্তি ছিল অবৈধ ভোটার তালিকা, ফলে কমিটি বাতিলের সুপারিশ করেছে তদন্ত দল।
সমিতির ম্যানেজার রুহুল আমীন বলেন, “এখানে কেউ সদস্যদের কল্যাণে কাজ করেনি, সবাই এসেছে ব্যক্তিস্বার্থে।”
সমবায় অধিদপ্তর তদন্তে স্পষ্ট করেছে—সমিতির ইতিহাস জুড়েই অনিয়ম আর গাফিলতির চর্চা। তদন্ত কমিটির সুপারিশ, অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও আত্মসাৎকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে হবে।