Your Ads Here 100x100 |
---|
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্প্রতি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিচারক এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে যারা দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে দুদক ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে।
দুদক বলছে, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ২ ধারা, ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইন এর ১১০ ধারা এবং দণ্ডবিধির ২১ ধারায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে এই চিঠিটি দেওয়া হয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. আক্তার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, কিছু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী তথ্য গোপন করে বিদেশি পাসপোর্ট গ্রহণ ও ব্যবহার করছেন। তারা চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান থেকে বাঁচতে বিদেশে অবস্থান করছেন। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪০ ধারা অনুযায়ী, এ ধরনের কর্মকাণ্ড আইনত দণ্ডনীয়।
দুদকের অভিযোগ, সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হলো দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ গোপন রাখা এবং বিদেশে পাচার করা। এর ফলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে দ্রুত তথ্য প্রদান করতে বলা হয়েছে, যাতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। দুদকের এ পদক্ষেপকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।