Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
মুক্তিযুদ্ধকে রাষ্ট্রের প্রধান অর্জন হিসেবে তুলে ধরেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ চূড়ান্ত করতে চায় বিএনপি। বুধবার অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলটি জানায়, ঘোষণাপত্র সাংবিধানিক নয়, বরং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রাপ্ত একটি রাজনৈতিক দলিল হওয়া উচিত। এ লক্ষ্যে সরকারের খসড়া প্রস্তাবে প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজন করে তা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে সংবিধানে যুক্ত করলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। কেউ কেউ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকেও অন্তর্ভুক্তির দাবি তুলতে পারেন। তাই তারা প্রস্তাব করেছেন—ঘোষণাপত্রটি রাজনৈতিক দলিল হিসেবে রাষ্ট্রীয় আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হোক।
বিএনপি খসড়ার প্রথম দিকের একটি অনুচ্ছেদে উল্লিখিত—১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা অর্জনের বক্তব্যটি অপ্রয়োজনীয় বিবেচনায় বাদ দিয়েছে। দলটির মতে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধই বাংলাদেশের জন্ম ও গৌরবময় ভিত্তি।
ঘোষণাপত্রে ‘বিভিন্ন শাসনামল’ শব্দের পরিবর্তে ‘আওয়ামী শাসনামল’ এবং ‘ক্ষমতার সুষ্ঠু রদবদলের রাজনৈতিক ব্যর্থতা’র জায়গায় ‘দেশি-বিদেশি চক্রান্তের সুযোগে’—এই ভাষাগত পরিবর্তন এনেছে বিএনপি। পাশাপাশি ১৯৭২ সালের সংবিধান বাতিলের প্রস্তাব বাতিল করে এর ‘উপযুক্ত সংস্কার’ করার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহেই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে চায় বলে জানিয়েছে রাজনৈতিক সূত্র। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের ওপর এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।