Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
চার দশকের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে প্রথমবারের মতো অস্ত্র পরিত্যাগের পথে হাঁটছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় কুর্দি অঞ্চলে শুক্রবার এক প্রতীকী অনুষ্ঠানে ২০ থেকে ৩০ জন যোদ্ধা তাদের অস্ত্র ধ্বংস করেন, যা পুরো গ্রীষ্মকালজুড়ে চলবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান একে “দেশের পায়ে চাপানো রক্তাক্ত শৃঙ্খল ছিঁড়ে ফেলার” ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছেন।
১৯৮৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে নিহত হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। শুধু তুরস্ক নয়, এর প্রভাব পড়েছে ইরাক, সিরিয়া ও ইরানের কুর্দি অধ্যুষিত এলাকাতেও।
পিকেকের কারাবন্দী নেতা আব্দুল্লাহ ওজালান, যিনি ১৯৯৯ সাল থেকে তুরস্কের ইমরালি দ্বীপে বন্দি, এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “এটি সশস্ত্র সংগ্রাম থেকে গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও আইনের পথে স্বেচ্ছায় যাত্রা—একটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি।”
উত্তর ইরাকের আমেদি অঞ্চলের বাসিন্দারা এই ঘোষণায় আশাবাদী। স্থানীয় কৃষক শিরওয়ান সিরকলি বলেন, “আমার খামার আগুনে পুড়ে গেছে। আমার ভাই ৩ লাখ ডলারের পশুসম্পদ হারিয়েছে। এখন মাত্র ৩৫টি পরিবার গ্রামে আছে।”
স্থানীয় নেতা আহমদ সাদুল্লাহ বলেন, “পিকেকে চলে গেলে গোলাবর্ষণও থেমে যাবে। আমরা শান্তি চাই, যেন জমি ফিরিয়ে নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি।”সূত্র: আল জাজিরা