Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
অ্যাংলিকান চার্চের ভেতর ক্রমবর্ধমান বিভক্তি ঠেকাতে ক্যান্টারবারির আর্চবিশপের বৈশ্বিক ভূমিকায় পরিবর্তনের প্রস্তাব উঠেছে। এতে করে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ ১৬৫টি দেশের প্রায় ৮৫ মিলিয়ন অ্যাংলিকান খ্রিষ্টানদের প্রতীকী নেতা। কিন্তু নারীদের পুরোহিত নিয়োগ এবং এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ইংল্যান্ডের তুলনামূলক উদার দৃষ্টিভঙ্গি এবং আফ্রিকা ও এশিয়ার রক্ষণশীল অবস্থানের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ তৈরি হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে, আন্তঃঅ্যাংলিকান স্ট্যান্ডিং কমিশন অন ইউনিটি, ফেইথ অ্যান্ড অর্ডার (IASCUFO) প্রস্তাব করেছে, ক্যান্টারবারির আর্চবিশপকে আধ্যাত্মিক নেতৃত্বে সীমাবদ্ধ রেখে প্রশাসনিক দায়িত্ব ঘূর্ণায়মান আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ভাগাভাগি করে নেবেন। এই পদটি এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলের মধ্যে ঘুরবে এবং প্রতি ছয় বছর মেয়াদি হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বের ভারসাম্য আনা যাবে। তবে রক্ষণশীল ব্লক GAFCON প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ তারা চায় সমলিঙ্গ বিবাহ সমর্থনকারী চার্চগুলোই কমিউনিয়ন ত্যাগ করুক।
বর্তমানে ক্যান্টারবারির আসনটি শূন্য। প্রার্থী বিশপ মার্টিন স্নো নিজেই বলেছেন, চার্চ অফ ইংল্যান্ডে যৌনতা ও বিবাহ নিয়ে ঐক্য আনা তার পক্ষেও সম্ভব নয়।
এদিকে লন্ডনের সমকামী পুরোহিত চার্লস বাচিক-বেল জানান, দেশে বিয়ের অনুমতি না থাকায় তাকে নিউইয়র্কে গিয়ে বিয়েতে বাধ্য হতে হয়েছে।