27 C
Dhaka
শনিবার, জুলাই ১২, ২০২৫

জ্বালানি সুইচ বন্ধ হওয়ায় আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হয় বোয়িং ড্রিমলাইনারের ইঞ্জিন

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

অনলাইন ডেস্ক :

ভারতের আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের পরপরই এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আকাশে ওড়ার মাত্র তিন সেকেন্ডের মধ্যে জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচ সরে যাওয়ায় দুটি ইঞ্জিনই শক্তি হারিয়ে ফেলে বন্ধ হয়ে যায় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। খবর-বিবিসি

১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী বোয়িংয়ের ওই ড্রিমলাইনার বিমনে বিধ্বস্তের ঘটনায় উড়োজাহাজের পাইলট-ক্রুসহ ২৪১ আরোহী নিহত হন। আর যে ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় তা স্থানীয় বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের একটি হোস্টেল। ওই সময় হোস্টেলের ক্যান্টিনে অনেকে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। সবমিলিয়ে ওই দুর্ঘটনায় অন্তত ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর এটি নিয়ে তদন্ত করছিল এয়ারক্রাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। শুক্রবার রাতে এ প্রতিবেদনে জমা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, দুটি ইঞ্জিনের ফুয়েল কাট অফ সুইচ এক সেকেন্ডের ব্যবধানে একের পর এক ‘রান’ (চালু) অবস্থান থেকে ‘কাট অফ’ (বন্ধ) অবস্থানে চলে যায়। দুপুর ১টা ৩৮ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে- অর্থাৎ বিমানটি মাটি ছেড়ে আকাশে ওঠার ঠিক তিন সেকেন্ড পরই এ ঘটনা ঘটে। তবে সুইচগুলো ভুলবশত সরে গিয়েছিল নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে সরানো হয়েছিল, তা প্রতিবেদনে উঠে আসেনি।

তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইচগুলো সরে যাওয়ার সময়কার ককপিট ভয়েস রেকর্ডিংয়ে শোনা যায়, একজন পাইলট অপরজনকে জিজ্ঞাসা করছেন, তিনি কেন ইঞ্জিনগুলোর জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিলেন। উত্তরে অপর পাইলট জানান, তিনি এমন কিছু করেননি। প্রশ্নটি ফার্স্ট অফিসার নাকি পাইলট ইন কমান্ড করেছিলেন, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

প্রতিবেদনে ককপিট ভয়েস রেকর্ডিংয়ের কোনো প্রতিলিপি (ট্রান্সক্রিপ্ট) দেওয়া হয়নি। এটি দুই পাইলটের মধ্যকার কথোপকথন সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা দিতে পারত।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

‘সোহাগ হত্যাকাণ্ড আওয়ামী জাহেলিয়াতের লগি-বৈঠার স্মৃতি জাগায়’

  খবরের দেশ ডেস্কঃ ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগকে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে হত্যা এবং হত্যার পর লাশের ওপর নৃত্যের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন...