Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই, ঢাকার রাজপথে যখন শিক্ষার্থীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছিল নিরাপত্তা বাহিনী, তখনই র্যাপার মোহাম্মদ সেজান প্রকাশ করেন তার প্রতিবাদী গান ‘কথা ক’। গানটির লাইন— “দেশটা বলে স্বাধীন, তাইলে খ্যাচটা কই রে”— তরুণদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। সেই গান পরিণত হয় এক বিপ্লবের কণ্ঠে।
সেই একই দিনে, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। তিনি হয়ে ওঠেন আন্দোলনের প্রতীক। এরপর একের পর এক গান, মিম, গ্রাফিতি ছড়িয়ে পড়ে— যা পরিণত হয় শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রতিরোধে।
শুধু র্যাপ নয়, ফেসবুকে ছড়াতে থাকে বিদ্রূপাত্মক মিম। সাংবাদিক ইমরান হোসেনের তৈরি একটি মিমে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ শব্দের জায়গায় লেখা হয় ‘মবোপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’, যেখানে লাল বৃত্তের ভেতরে নির্যাতনের ছবি— যা সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের রূপ নেয়।
এই তরঙ্গ নতুন সরকার গঠনের পরেও থেমে থাকেনি। র্যাপার হান্নান হোসেন শিমুলের গান ‘আওয়াজ উডা’, গ্রাফিতি আর মিম— সব মিলিয়ে তৈরি করে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হিপ-হপ সংস্কৃতি, ব্যঙ্গচিত্র ও মিম এখন আর শুধু অনলাইন বিদ্রুপ নয়, বরং এগুলো হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক প্রতিরোধের হাতিয়ার।