Your Ads Here 100x100 |
---|
সুইজারল্যান্ডের সরকার ২০২৫-২০২৮ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগিতার বাজেট কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশসহ তিনটি দেশে দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। এতে বাংলাদেশের জন্য কী প্রভাব পড়তে পারে, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
২০২৫ সালের বাজেট থেকে ১১০ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ এবং ২০২৬-২০২৮ অর্থবছরে ৩২১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইজারল্যান্ড। ২৯ জানুয়ারি ২০২৫-এ সুইস ফেডারেল কাউন্সিল সংসদের গৃহীত উন্নয়ন বাজেট কাটছাঁটের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রকাশ করে। ২০২৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ, আলবেনিয়া ও জাম্বিয়ায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বন্ধ হবে। একইসাথে, ইউনেস্কো, ইউনেইডস ও গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় অর্থায়ন কমানো হবে।
বাংলাদেশ ২০২৩ সালে সুইস উন্নয়ন সহযোগিতা তালিকায় ১১তম অবস্থানে ছিল। সে বছর বাংলাদেশে ৩৪১ লাখ সুইস ফ্রাঁ বরাদ্দ ছিল। এশিয়ায় ফিলিস্তিন, সিরিয়া, মিয়ানমার ও আফগানিস্তানের পরেই বাংলাদেশ সর্বোচ্চ অর্থায়ন পেয়েছিল। সুইস অর্থায়ন টেকসই অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, এবং রোহিঙ্গা সংকট ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রেখেছে।
শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে চাপ: সুইস অর্থায়ন কমলে শিক্ষাখাতে উন্নয়ন প্রকল্পের গতি শ্লথ হতে পারে। নারী উন্নয়ন প্রকল্পে বাধা: শর্তবিহীন সহায়তা বন্ধ হলে নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি ব্যাহত হতে পারে। রোহিঙ্গা সংকট ব্যবস্থাপনা: রোহিঙ্গাদের সহায়তা ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা: সুইজারল্যান্ডের জলবায়ু সহায়তা হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশের বিকল্প পরিকল্পনা প্রয়োজন। অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ: উন্নয়ন বাজেট কাটছাঁট হওয়ায় বাংলাদেশকে নিজস্ব অর্থায়নের দিকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
সুইজারল্যান্ডের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। তবে বাংলাদেশ যদি কৌশলীভাবে অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সম্পৃক্ত করতে পারে এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদের ব্যবহার বাড়ায়, তাহলে এই প্রভাব কিছুটা কমানো সম্ভব হবে।