Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
গত মাসে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২৬০ জন প্রাণ হারানোর ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে পাইলটদের মধ্যে ইঞ্জিন ফুয়েল কাটঅফ সুইচ নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছে। বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার, যা আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়েছিল, ওঠার পরপরই শক্তি কমতে শুরু করে এবং ফুয়েল কাটঅফ সুইচ দুটো প্রায় একসাথে অফ হয়ে যাওয়ায় ইঞ্জিনগুলো জ্বালানী পাচ্ছিল না।
ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরোর (এএআইবিবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইঞ্জিন ফুয়েল কাটঅফ সুইচের অবস্থান নিয়ে নতুন প্রশ্ন ওঠেছে। উড়োজাহাজের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রাম এয়ার টারবাইন নামক ব্যাকআপ শক্তি উৎস সক্রিয় হয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় ইঞ্জিনের পাওয়ার চলে গেছে। ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারে এক পাইলট অন্যকে জিজ্ঞেস করছে কেন তিনি ফুয়েল কাটঅফ করেছেন, অন্য পাইলট বলছেন তিনি করেননি।
বিমান চালাচ্ছিলেন সুমিত সাভারওয়াল (৫৬), যিনি এয়ার ইন্ডিয়ার প্রশিক্ষকও ছিলেন, এবং সহ-পাইলট ছিলেন ক্লাইভ কুন্ডার (৩২)। ফুয়েল কাটঅফ সুইচ দুইটি প্রায় এক সেকেন্ডের ব্যবধানে অফ হয়েছে, যা স্বাভাবিক নয়। সাধারণত উড্ডয়নের সময় পাইলট এই সুইচগুলো বন্ধ করেন না।
এএআইবিবির রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে সুইচ দুটো ‘রান’ অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং ইঞ্জিন আবার চালু হওয়ার কিছু চিহ্নও ছিল। বিমানটি ওঠার মাত্র ৬৫০ ফুট উঁচুতে পৌঁছানোর পর দ্রুত নিচে নামতে থাকে এবং একটি ভবনে ধাক্কা খেয়ে আগুনে পুড়ে যায়।
এই দুর্ঘটনা এয়ার ইন্ডিয়ার সুনাম ফিরিয়ে আনার তাত্পর্যের বিরুদ্ধে বড় চ্যালেঞ্জ। ভারতের বিমান নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এ বিষয়ে আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।সূত্রঃ রয়টার্স