30.8 C
Dhaka
রবিবার, জুলাই ১৩, ২০২৫

লিটনদের সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচ আজ

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

স্পোর্টস ডেস্ক :

ওয়ানডে সিরিজের রোমাঞ্চ যে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত টেনে নেওয়ায় বড় ভূমিকা ছিল বাংলাদেশের। মিরাজরা প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে না জিতলে ক্যান্ডিতে শেষ ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ থাকত না। তেমনি টি২০ সিরিজের উন্মাদনা ধরে রাখার জন্য হলেও বাংলাদেশের আজ জেতা উচিত। লিটন কুমার দাসরা মনেপ্রাণে সেটা চাচ্ছেনও। কোচিং স্টাফও কায়মনে প্রার্থনা করছেন একটি জয়ের।

কারণ দলের সাফল্য ছাড়া ভেতরের বিতর্কিত ঘটনাগুলো চাপা দেওয়া সম্ভব হবে না। এই অস্থির সময়ে কোচদেরও টি২০ জয় চাই। খেলোয়াড়দের চেয়ে তাদের জয়ের ক্ষুধা বেশি। কারণ দল ব্যর্থ হলে ফিল সিমন্স ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে জবাবদিহির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে। লিটনের জাতীয় দলে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। নিজেদের প্রয়োজনেই ডাম্বুলার রাংগিরি স্টেডিয়ামে আজ জয়ের রঙে রাঙাতে চাইবেন লিটনরা।

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে ভালো খেলে বাংলাদেশ। ব্যাকফুটে থেকে অনেক ম্যাচ জেতানোর রেকর্ড আছে মাশরাফি-সাকিবদের। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতেও দারুণ কিছু সাফল্য পেয়েছেন তারা। ওয়ানডে, টি২০, টেস্ট– তিন সংস্করণেই জয় ছিল। আট বছর আগে ডাম্বুলায় আছে ওয়ানডে জয়ের সুখস্মৃতি। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি, তাসকিন আহমেদের হ্যাটট্রিক উইকেট শিকার করার স্মৃতি এখনও সতেজ। কারণ রাংগিরি স্টেডিয়ামে ২০১৭ সালের পরে কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ।

আট বছর আগের সেই দলের মাত্র তিনজন ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান আছেন বর্তমান দলে। যদিও সংস্করণ ভিন্ন, এবার টি২০ খেলবে বাংলাদেশ; যেখানে সফল হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি থাকে। একটি ভালো ইনিংস বা একটি ভালো বোলিং স্পেল ম্যাচ জিততে সাহায্য করে। তানজিম হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন কুমার দাস, তাওহীদ হৃদয়রা একটি ইমপ্যাক্ট ইনিংস খেলে দিলে জয়ের খাতা খুলতে পারে দলটি। আসলে একটি কার্যকর ইনিংস খেলার মতো ছন্দে থাকা ব্যাটার পাওয়া যাচ্ছে না দলে। বরং ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণেই পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামের ব্যাটিং উইকেটেও ১৫৪ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। বোলিং ভালো হওয়ায় ১৯ ওভার পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে আটকে রাখা সম্ভব হয়েছিল।

ডাম্বুলায় জিততে হলে অলআউট ক্রিকেট খেলতে হবে টাইগারদের। কারণ পাল্লেকেলের মতো রাংগিরিতেও স্পোর্টিং উইকেট করা হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি ম্যাচ হতে পারে। সেটাও নির্ভর করছে বাংলাদেশ দলের লড়াইয়ের ওপের। ডাম্বুলার গ্যালারি নিচু হওয়ায় দুই দিক থেকে হুহু করে বাতাস প্রবাহিত হয়। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিম দিকের বিশাল লেক ইবানকাটুয়া থেকে প্রবাহিত হাওয়ার প্রভাব স্টেডিয়ামের ২২ ও থাকবে। এই ভেন্যুতে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা এই কন্ডিশনের সঙ্গে পরিচিত। ছোটখাটো এই জিনিসগুলোও মানিয়ে নিতে হবে লিটনদের।

যদিও শ্রীলঙ্কান ফিল্ডিং কোচ উপুল থারাঙ্গা বলছেন, প্রথম টি২০-এর মতো দাপুটে ক্রিকেট খেলে ডাম্বুলা থেকে সিরিজ নিশ্চিত করে কলম্বো যেতে চান তারা। বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্সের আশা লড়াই জমাতে পারলে সিরিজ বাঁচানো সম্ভব হবে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের একাদশে পরিবর্তন আনা হতে পারে। মুস্তাফিজুর রহমানকে দেখা যেতে পারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের জায়গায়। কোচ জানান, ওয়ানডে সিরিজে চোট পাওয়া জাকের আলী ফিট হলে ব্যাটিং অর্ডারে অন্তত একটি পরিবর্তন আসতে পারে। বাদ পড়তে পারেন নাঈম শেখ। মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় অফ স্পিনার শেখ মেহেদীকে দেখা যেতে পারে। কারণ নাঈম শেখ, মেহেদী মিরাজ পাল্লেকেলেতে টি২০ ব্যাটিং করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

সাবিনা পার্কে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বিপর্যয়

স্পোর্টস ডেস্কঃ জ্যামাইকার কিংস্টনের ঐতিহাসিক সাবিনা পার্কে অস্ট্রেলিয়া দল পড়েছে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গতিময় বোলিংয়ের মুখে মাত্র ২২৫...