Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রে জুন মাসে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) বাড়তে পারে, যা আগামী মাসগুলিতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ডেটা ফেডারেল রিজার্ভের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ এটি ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কের কারণে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে কি না, তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে।
ফেড চেয়ার জেরোম পাওয়েল এই গ্রীষ্মকে এমন সময় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্ভবত জানতে পারবে যে শুল্কগুলো মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য দায়ী হচ্ছে কি না।
এখন পর্যন্ত শুল্কগুলোর প্রভাব মুদ্রাস্ফীতির উপর সীমিত ছিল, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফেডের প্রধানকে তীব্র সমালোচনা করতে ব্যবহার করেছেন এবং সুদের হার কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে এর মানে এই নয় যে, শুল্কের প্রভাব আগামী দিনগুলোতে মুদ্রাস্ফীতির উপর বাড়বে না।
ইওয়াই পারথেননের প্রধান অর্থনীতিবিদ গ্রেগরি ড্যাকো বলেছেন, “আমরা জানি, শুল্ক আরোপের পর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবের মধ্যে একটি সময়ের দেরি থাকে। ব্যবসাগুলো শুল্কের প্রভাব সামলাতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং আমরা এখনও পুরোপুরি শুল্কের প্রভাব দেখতে পাইনি।”
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ মঙ্গলবার সকাল ৮:৩০ টায় (ইডিটি) সিপিআই ডেটা প্রকাশ করবে, যেখানে ধারনা করা হচ্ছে সিপিআই সূচকটি ৩% বার্ষিক হারে বাড়তে পারে, যা মে মাসের তুলনায় সামান্য বেশি। এই ডেটা ফেডের মূল সুদের হার ৪.২৫%-৪.৫০% রেঞ্জে থাকতে সহায়ক হবে।
অন্যদিকে, ফেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যদি মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনীতির অন্যান্য সূচক ভালো না থাকে, তবে তারা সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেবেন।
এছাড়া, নতুন শুল্কের কারণে কিছু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, বিশেষত চীন থেকে আমদানি করা পণ্যগুলোর উপর প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সিপিআইতে ৩% বৃদ্ধির কারণ হতে পারে, যা ফেডের আগাম হার কমানোর সুযোগ বন্ধ করতে পারে।
সূত্রঃ রয়টার্স