Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ওড়িশার বালেশ্বর জেলার একটি স্বায়ত্তশাসিত কলেজের বিএড ছাত্রী, যিনি অভিযুক্ত শিক্ষক দ্বারা যৌন হেনস্তার অভিযোগ জানিয়ে কোনো সুরাহা না পেয়ে কলেজ প্রাঙ্গণেই নিজের গায়ে আগুন দেন, সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার মৃত্যুর পর গোটা ভারতে নারীদের নিরাপত্তা ও বিচারপ্রাপ্তি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ছাত্রীটি চিকিৎসাধীন ছিলেন ভুবনেশ্বরের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস)-এ। সেখানে সোমবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার শরীরের ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল, ফলে শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে শুরুতে কলেজ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানাচ্ছেন ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়রা।
ছাত্রীটির আত্মহত্যার আগে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে তিনি লিখেছেন, “আমি হেরে যাচ্ছি, কারণ আমার কণ্ঠ কেউ শুনছে না। কিন্তু আমি চাই, এই আগুন যেন অন্যায় সহ্যকারীদের চোখ খুলে দেয়।”
নারী অধিকারকর্মীরা বলছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—ভারতের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন, কিন্তু বিচার পাওয়া দূরের কথা, অনেকে চুপ থাকতে বাধ্য হচ্ছেন সমাজ ও প্রশাসনিক চাপের কারণে।
বালেশ্বরের ভোগরাই গ্রামে মঙ্গলবার সকালেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এই মৃত্যু যেন আরও এক বার স্মরণ করিয়ে দিল, নারীর নিরাপত্তা আজও প্রশ্নবিদ্ধ