Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
দক্ষিণ মালি সীমান্তে অবস্থিত বুলকেসি সেনাঘাঁটিতে জুনের শুরুতে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে আল-কায়েদা-সম্পৃক্ত জঙ্গিগোষ্ঠী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (JNIM)। হামলায় শতাধিক সেনা নিহত ও বেশ কয়েকজন বন্দি হয়েছে বলে দাবি করেছে গোষ্ঠীটি, যদিও সংখ্যাগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
শুধু মে ও জুন মাসেই মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারে সেনাঘাঁটি ও শহর লক্ষ্য করে ১২টির বেশি হামলা চালিয়েছে মুসলিমিন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলাগুলো গোষ্ঠীটির কৌশলগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়—তারা এখন শহর ঘিরে অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ এবং রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুচাহিদ দুরমাজ বলেন, “এই হামলাগুলো একটি বিকল্প রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টারই অংশ, যার বিস্তার হবে পশ্চিম মালি থেকে দক্ষিণ নাইজার এবং উত্তর বেনিন পর্যন্ত।”
এসিলইডি (ACLED)-এর তথ্য অনুযায়ী, শুধু মে মাসেই তিনটি দেশে সহিংসতায় নিহত হয়েছে প্রায় ৮৫০ জন। জঙ্গিরা এখন ড্রোন, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট অস্ত্র এবং নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। স্থানীয় জনগণের ওপর কর আরোপ, অপহরণ এবং পণ্য লুটের মাধ্যমে তারা বিপুল অর্থ সংগ্রহ করছে।
মুসলিমিন এর শীর্ষ নেতা ইয়াদ আগ ঘালি পশ্চিম আফ্রিকায় ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (ICC) দ্বারা যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত। সূত্রঃ রয়টার্স