Your Ads Here 100x100 |
---|
বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে দেশের চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির পুরোপুরি সমাধান করা কঠিন। তিনি বলেন, বর্তমানে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা আনতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও এটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য যথেষ্ট নয়।
অর্থ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, চলমান মূল্যস্ফীতির পেছনে একাধিক কারণ কাজ করছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো:
- চাঁদাবাজি এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি
- অতিরিক্ত অর্থ ছাপানো
- মেগা প্রকল্পগুলোর জন্য বিশাল তহবিল বরাদ্দ, যার তাৎক্ষণিক প্রভাব অর্থনীতিতে পড়ছে না
- বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলার সংকট
তিনি আরও বলেন, “আগে যারা চাঁদাবাজি করতো, তাদের পাশাপাশি রাজনীতিতে নতুন যারা জায়গা করে নিয়েছে, তারাও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করছে।”
সরকার ইতোমধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস
- বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর আর্থিক নীতি
- টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে পণ্য সরবরাহ
তবে অর্থ উপদেষ্টা মনে করেন, এই উদ্যোগগুলোর ফলে কিছুটা স্থিতিশীলতা এলেও সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। “আমরা অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, তবে এখনো আমাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে,” বলেন তিনি।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন , আগামীতে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করলে ,
বাজার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা
বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখা
কৃষি ও উৎপাদনশীল খাতকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া
মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ
পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা উচিত
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকার নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নিলেও মূলত আগামী নির্বাচিত সরকারের নীতির ওপর নির্ভর করবে মূল্যস্ফীতির দীর্ঘমেয়াদী সমাধান।
বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে এক জটিল সময় অতিক্রম করছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা একটি দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ, যার জন্য সরকারকে আরও সুদূরপ্রসারী নীতি গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই সমস্যার সমাধানে আরও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।