Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
গোপালগঞ্জে সম্প্রতি সংঘটিত সহিংস হামলা বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক নতুন মাত্রা তৈরি করেছে। পুলিশের ওপর আক্রমণ, আর্মি ক্যাম্প ঘেরাও, বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ এবং ধর্মীয় উসকানিমূলক বক্তব্য—সব মিলিয়ে ঘটনাটি ছিল সুসংগঠিত ও বিপজ্জনক। তবে বিস্ময়করভাবে, মূলধারার গণমাধ্যম এবং তথাকথিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের পক্ষ থেকে এই হামলাকে ‘মব সন্ত্রাস’ বা ‘ধর্মীয় উগ্রতা’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়নি।
সমালোচকদের মতে, এই নীরবতা কেবল পক্ষপাত নয়, বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক কৌশলের ইঙ্গিত দেয়। মার্কিন দার্শনিক জন স্ট্যানলির ‘হাউ ফ্যাসিজম ওয়ার্কস’’ বইয়ে যেভাবে ভাষার অপব্যবহার ও বিভাজনমূলক বয়ানের মাধ্যমে রাজনীতি পরিচালনার কথা বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জের ঘটনা যেন তারই প্রতিচ্ছবি।
যেখানে মুসলমান ধর্মীয় পরিচয়ের কেউ কোনো অপরাধে জড়িত হলে তাকে ‘উগ্রবাদী’, ‘মব’ বা ‘জঙ্গি’ হিসেবে প্রচার করা হয়, সেখানে ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত সহিংসতাকে ‘অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব’ বলে উপস্থাপন করা হয়। এই বৈষম্যমূলক প্রতিক্রিয়া শুধু গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে না, বরং এটি ভাষার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ‘ফ্যাসিবাদী বয়ান’-এর ইঙ্গিতও দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে ‘মব’ শব্দের একচেটিয়া ব্যবহার সমাজে বিভাজন তৈরি করছে, যা গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্য গুরুতর হুমকি।