29 C
Dhaka
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

আইসিইউতে ফরিদা পারভীন

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।  

খবরটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এই শিল্পীর স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম। তিনি জানান, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গাজী আবদুল হাকিম জানান, ফরিদা পারভীনকে এখন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তার ফুসফুসে পানি জমেছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি জটিলতা রয়েছে। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী শিল্পীর সর্বশেষ অবস্থা প্রসঙ্গে বলেন, ‘তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে তিনি ভোরে ভর্তি হয়েছেন। প্রয়োজনীয় সকল পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে আইসিইউতে রাখা হয়েছে তাকে। তার ফুসফুস আক্রান্ত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং থাইরয়েডের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যা রয়েছে। বর্তমানে বক্ষব্যাধি, কিডনি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে আছেন তিনি। তার অবস্থা কিছুটা জটিল। আমরা ডায়ালাইসিসের পরামর্শ দিয়েছি। এখন দেখা যাক।’

বলা প্রয়োজন, ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।

উল্লেখ্য, ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে। এমনকি শিশুদের লালনসংগীত শিক্ষার জন্য ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুলও গড়ে তুলেছেন এই শিল্পী।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

কী অবস্থা মাগুরার সেই শোকার্ত গ্রামটির।

প্রায় আট দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে পরাজিত হওয়া মাগুরার আট বছর বয়সী শিশুটির বাড়িতে এখনো শোকের ছায়া।...