Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
জাতিসংঘের এক গোপন প্রতিবেদনে অভিযোগ উঠে, পূর্ব কঙ্গোর সশস্ত্র বিরোধী দল M23 দখলে রাখার ‘নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশনা’ দিচ্ছে রুয়ান্ডা। পাশাপাশি, প্রতিবেশী দেশ উগান্ডা তার সামরিক উপস্থিতি দ্বিগুণ করেছে কঙ্গোর মাটিতে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কঙ্গোর শাসনকর্তাদের কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীও সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করছে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুয়ান্ডা সরকারের গোয়েন্দা ও সেনারা M23 বিদ্রোহীদেরকে ‘গোপন নির্দেশনা’ দিচ্ছে এবং প্রায় ৩,০০০-৪,০০০ রুয়ান্ডা সেনা বিদ্রোহীদের পাশে লড়াই করছে। এতে রুয়ান্ডার অপরাধের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে।
অপরদিকে, উগান্ডা ‘অবৈধভাবে’ কঙ্গোর উত্তরাঞ্চলে তার সামরিক বাহিনীর সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে, যা কঙ্গো সরকারের অনুমোদন ছাড়াই করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উগান্ডার এই পদক্ষেপ মূলত তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা এবং M23 কে সুরক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে।
এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুয়ান্ডা ও উগান্ডা উভয়ই জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে পক্ষপাতমূলক ও মিথ্যা বলে অভিযোগ করেছে। তবে স্বাধীন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি বাস্তবতা প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
বর্তমানে কঙ্গো সংকটের শান্তি প্রক্রিয়ায় নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সাধারণ মানুষ অসহায় অবস্থায় মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নিরাপত্তাহীনতার শিকার হচ্ছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন এসব বিষয়ের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
সূত্রঃ আলজাজিরা