Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিভক্ত দ্বীপ সাইপ্রাসে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গড়ে ওঠা আলোচনায় চারটি নতুন সীমান্ত পারাপারের বিষয় নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি দ্বিপাক্ষিক নেতা। গত কয়েক বছর ধরে বিভক্ত দ্বীপটির পুনর্মিলনের চেষ্টা ব্যাহত হয়ে আসছে, আর ২০১৭ সাল থেকে আলোচনাগুলো স্থগিত রয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস নিউইয়র্কে সাইপ্রাসের দুই নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর বলেছেন, তিনি আরও ভালো ফলাফল প্রত্যাশা করতেন। তবে চারটি নির্দিষ্ট পদক্ষেপে কিছু অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে গুতেরেস বলেছিলেন, “সফর এখনও অনেক দূর।”
সাইপ্রাসের উত্তরাংশে ১৯৭৪ সালে তুরস্কের আগ্রাসনের পর থেকে দ্বীপটি দ্বিভক্ত। উত্তরাঞ্চলকে তুরস্ক স্বীকৃতি দিয়েছে, যেখানে প্রায় ৩৫,০০০ তুর্কি সৈন্য অবস্থান করছে। তুর্কি সাইপ্রাসের নেতা এরসিন টাটার দ্বিদলীয় রাষ্ট্রের পক্ষে হলেও, গ্রিক সাইপ্রাসের নেতারা দ্বীপের বিভাজন চূড়ান্ত করতে নারাজ।
বৈঠকে তুরস্ক ও গ্রীসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ব্রিটিশ ডেপুটি মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। চারটি নতুন সীমান্ত পারাপার নিয়ে এখনো মতবিরোধ রয়েছে। টাটার অভিযোগ করেন, গ্রিক সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডুলিডিস একটি পারাপার বাফার জোন দিয়ে যাওয়ার দাবিতে সম্মতি আটকে রেখেছেন, যা তুর্কি পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
জাতিসংঘ মহাসচিব জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় তিনি দুই নেতার সঙ্গে আবারও বৈঠক করবেন এবং বছর শেষে অজানা আলোচনারও আয়োজন করবেন।
সাইপ্রাসে শান্তি প্রক্রিয়া এখনও জটিল অবস্থায় রয়েছে, তবে আস্থা বৃদ্ধি ও পরিবেশ-যুবক কর্মসূচিসহ কিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। তবে দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা ও সম্পত্তি ইস্যু এখনো বড় বাধা।
সূত্রঃ আলজাজিরা