Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি পণ্ড করতে গোপালগঞ্জে সংগঠিত হামলার ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। বিএনপি এবং এনসিপির অভিযোগে বলা হয়, এসব হামলা ও মিথ্যা মামলার ডানা মেলেছে দলের শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত।
এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত হিসেবে অভিযোগ করা হয়েছে পলাতক নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি ‘হামলা চালানোর’ নির্দেশনা দেন বলে দলের বক্তব্য। একই সাথে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সরাসরি গোপালগঞ্জ ঘিরে নির্দেশ দেন বলে জানা যায়।
এনসিপির বরাত দিয়ে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বৈঠক করে হামলাকারী ও চাঁদাবাজদের নিয়োজিত করার অভিযোগ তুলেছে রাজনীতিবিদরা। দলের সিনিয়র অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এক বিবৃতিতে বলেন, “নিরপরাধ নেতাকর্মীদের হত্যা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন করা হবে না।”
অভিযোগে বলা হয়, ছাত্রলীগের আতাউর রহমান পিয়াল ও নিউটন মোল্লা’র নেতৃত্বে পুলিশকে লক্ষ্য করে গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও বোমা হামলা করা হয়। শহরের মোহাম্মদপাড়ায় এনসিপির গাড়িবহরে গুলি ও বোমাও নিক্ষেপ করা হয়।
এছাড়া, কলকাতায় থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা—যেমন সাবেক এমপি সেলিম ও ইকবাল অপু —ও হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। নারীদের নিয়োজনে শফিকুল আলম কাজলের স্ত্রী ইয়াসমিন আলম-এর নামও উঠে এসেছে। তাকে পুলিশ আটক করেছে।
এনসিপি জানিয়েছে, দল দেশের বিভিন্ন জেলায় ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করলেও কেবল গোপালগঞ্জেই নিষিদ্ধ সংগঠন চাপ সৃষ্টি করেছে। এনসিপি ও বিএনপি সামাজিক, প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থাসহ স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছেন, যেন কারো বসে থাকা না যায়—মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকি থেকে কেউ বঞ্চিত না হয়।